পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে তার থাকার কথা ছিল কেন্দ্রবিন্দুতে। কিন্তু অনেকে খুঁজেও শিফাত শাহরিয়ার সামিকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না।
স্কুল ক্রিকেটের ফাইনালে ৪৩ রানেই দলের ৬ উইকেট। সেখান থেকে অনেকটা একাই টেনে নেন দলকে। তুলে নেন সেঞ্চুরি। আট নম্বরে নেমে করা তার সেঞ্চুরির ওপর ভর করেই বড় সংগ্রহ পায় পূর্ব বাসাবোর কদমতলি স্কুল। তাদের দলও হয়েছে চ্যাম্পিয়ন।
কিন্তু দলের শিরোপা উদযাপন করতে দেখেননি শাহরিয়ার। ৯ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসে ১১৫ বলে ১৪৮ রান করার পথে প্রায় তিন ঘণ্টা ব্যাটিং করেন তিনি। পরে প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসেই হিট স্ট্রোক করে ফেলেন তিনি।
তার সবশেষ অবস্থা জানিয়ে বাসাবো স্কুলের কোচ মোস্তাফিজুর রহমান শাহরিয়ার বলেন, ‘আমাদের ফিজিও বলেছে হিট স্ট্রোক। ডাক্তাররা এখনও চেক করতেছে। হয়তো দুই তিন ঘণ্টা লাগবে। গরম ছিল প্রচুর, আমি বোলিংটা দিতে চাই নাই। এখন ভালো আছে। কথা বলছে, চোখ খুলছে। আমাদের ম্যানেজম্যান্ট বলেছে ওর সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে চিকিৎসার। ’
৮ নম্বরে নেমে সেঞ্চুরি করেছেন সামি। স্কুল ক্রিকেটে আগেও তার তেমন বড় কোনো কীর্তি ছিল না। ফাইনালে তার এমন ব্যাটিং চমকপ্রদ ছিল খোদ বাসাবো স্কুলের কোচ মোস্তাফিজের কাছেও। জানিয়েছেন তাকে অনুপ্রেরণা দেওয়ার কথাও।
তিনি বলেন, ‘একশ পার্সেন্ট সারপ্রাইজিং। বোলিংয়ের কারিশমা অনেক ভালো। আমাদের মোস্তাফিজের কাটিংয়ে...সব ধরনের বল ও করতে পারে। ও ব্যাটিং পারে, একদমই পারে না এমন না। সোজা সোজা ব্যাট করতে পারে। ’
‘ওকে শুধু বললাম, মাঠ মিরপুর। জীবনে আর কখনো সুযোগ আসবে কি না আমি জানি না। তোমার জন্য হতে পারে এটাই শেষ মঞ্চ অথবা জাতীয় দলের চেইনে ঢুকতে পারো। হয়তো ও কথাটা মাথা নিয়েছে। শুরুতে পিচে থেকেছে। পরে দিন যত গেছে মনে হয়েছে অনেক ভালো ব্যাটসম্যান। আমার দৃষ্টিতে সে এত বড় ব্যাটসম্যান না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০২৪
এমএইচবি/আরইউ