বোলিংটা প্রথম ম্যাচেও মন্দ করেননি হারিস রউফ। দারুণ এক স্পেলে লড়াইয়ে ফিরিয়ে এনেছিলেন পাকিস্তানকে।
অ্যাডিলেডে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানের বেশি করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। জবাবে সাইম আইয়ুব ও আব্দুল্লাহ শফিকের ফিফটিতে সেই রান ১৪১ বল হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।
শুরুতে পিচ দেখে ব্যাটিং উইকেট মনে হলেও প্রথমে সেই ভুল ভাঙিয়ে দেন শাহিন আফ্রিদি। এরপর পুরো ম্যাচের আলো কেড়ে নেন হারিস রউফ। লাইন ও লেংথ বজায় রেখে করা তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে অল্পতেই ধসে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপ। ৮ ওভারে কেবল ২৯ রান খরচে ৫ উইকেট শিকার করেন তিনি। এনিয়ে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয়বার ফাইফারের দেখা পেলেন এই পেসার। এছাড়া শাহিন তিনটি, নাসিম শাহ ও মোহাম্মদ হাসনাইন নেন একটি করে উইকেট।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে স্টিভেন স্মিথের ব্যাট থেকে। তিনি বাদে আর কোনো ব্যাটারই ২০ ছুঁতে পারেননি। পাকিস্তানের হয়ে ৬টি ক্যাচ নেন অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান। আর একটি ক্যাচ নিলেই উইকেটরক্ষক হিসেবে এককভাবে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ড গড়তেন তিনি। সেই সুযোগও এসেছিল তার কাছে। কিন্তু অ্যাডাম জাম্পার ক্যাচ নেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়ে বল হাত ফসকে মাটিতে পড়ে যায়। ফলে যৌথ তালিকাতেই থাকতে হলো তাকে।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে জয়ের পথেই হাঁটছিল পাকিস্তান। কেননা দারুণ শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সাইম ও শফিক। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ান জাম্পা। অস্ট্রেলিয়াকে ব্রেকথ্রু এনে দিয়ে ১৩৭ রানের জুটি ভাঙেন তিনি। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৭১ বলে ৫ চার ৬ ছক্কায় ৮২ রান করে হ্যাজেলউডের হাতে ক্যাচ দেন সাইম।
এরপর বাকিটা পথ কাটিয়ে দিতে সমস্যা হয়নি শফিক ও বাবর আজমের। ৬৯ বলে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন শফিক। ছক্কা মেরে দলের জয় নিশ্চিত করা বাবর ২০ বলে খেলেন ১৫ রানের ইনিংস।
এদিকে পার্থে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১০ নভেম্বর।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, নভেম্বর ৮, ২০২৪
এএইচএস