আগের পুরো দিনই ছিল হতাশার। ওয়েস্ট ইন্ডিজও অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছিল লিড নেওয়ার পথে।
কিংসটনে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের শেষটিতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারীরা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে তৃতীয় দিনের মধ্যাহ্নভোজের বিরতি অবধি ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান করেছে বাংলাদেশ।
আগের দিন বাংলাদেশের জন্য কেটেছিল পুরোপুরি হতাশায়। ব্যাটারদের ব্যর্থতার পর বোলাররাও উইকেট এনে দিতে পারেননি একটির বেশি। যদিও বোলিংয়ে তারা করছিলেন দারুণ।
তার প্রভাব দেখা যায় তৃতীয় দিনে, মেলে সাফল্যও। একের পর এক উইকেট নিতে থাকেন নাহিদ রানা-তাসকিন আহমেদরা। শুরুটা কার্লোস ব্র্যাথওয়েটকে ফিরিয়ে করেন নাহিদ। গতিময় সব বলে ব্র্যাথওয়েটকে বিপাকে ফেলছিলেন তিনি।
তার বাউন্সার সামলাতে গিয়ে ব্র্যাথওয়েটের ব্যাটে লেগে বল যায় গলিতে। জাকির ক্যাচ ধরলে ১১৭ বলে ৬০ রানের জুটি ভেঙে যায়। ১২৯ বল খেলে ৩৯ রান করেন ব্র্যাথওয়েট। তার বিদায়ের পর থেকেই শুরু হয় ধ্বস।
কেভম হজ উইকেটের পেছনে লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দেন ১২ বলে ৩ রান করে। দুই উইকেট তুলে ক্যারিবীয়ানদের চাপে ফেলেন নাহিদ। ৯ বলে দুই রান করা অ্যালিক অ্যাথানজিকে এরপর বোল্ড করে দেন তাসকিন আহমেদ।
এরপর তাইজুল ইসলাম ও হাসান মাহমুদও উইকেট এনে দেন। ৯ বলে ২ রান করা গ্রেভসকে বোল্ড করেন তাইজুল। ৯ বলে ৫ রান করে জশুয়া দি সিলভা এলবিডব্লিউ হন হাসান মাহমুদের ওভারে।
উইকেট হারানোর ভিড়ে একপ্রান্ত আগলে থাকছিলেন কেসি কার্থি। তাকে ১১৫ বলে এক চারে ৪০ রান করা এই ব্যাটারকে এলবিডব্লিউ করেন হাসান মাহমুদ। পরে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই নিজের চতুর্থ উইকেট পেয়ে যান নাহিদ রানা। ১০ বলে ৭ রান করে আলজারি জোসেফ তার বলে ক্যাচ দেন মিড অফে দাঁড়ানো অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। এটি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের অষ্টম উইকেট।
মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই স্বাগতিকদের অবশ্য অলআউট করতে পারেনি বাংলাদেশ। ২২ বলে ৬ রান করে কেমার রোচ ও ১১ বলে ৫ রান করে অপরাজিত আছেন শামার জোসেফ।
বাংলাদেশ সময় : ১১১২ ঘণ্টা, ২ ডিসেম্বর, ২০২৪
এমএইচবি