এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল বাংলাদেশের জন্য ফাইনালে ওঠার শেষ সুযোগ। লক্ষ্যটাও ছিল একেবারে নাগালের মধ্যে; মাত্র ১৩৬ রান।
দুবাইয়ে সুপার ফোরের ম্যাচে প্রথমে বোলাররা নিজেদের সেরাটা দিয়েছেন। পাকিস্তানকে মাত্র ১৩৫ রানে আটকে দেয় তাসকিন আহমেদ ও রিশাদ হোসেনরা। এমন বোলিংয়ের পর জয়ের সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের পক্ষেই। কিন্তু লক্ষ্য তাড়ায় হৃদয়, জাকের ও সোহানদের গড়া ব্যাটিং লাইনআপ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত থেমেছে ৯ উইকেটে ১২৪ রানে, হেরেছে ১১ রানে এবং বিদায় নিয়েছে এশিয়া কাপ থেকে।
১৩৬ রানের কম লক্ষ্য তাড়ায় ব্যর্থ হওয়ার ঘটনা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর আগে মাত্র দুইবার ঘটেছিল। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলো বাংলাদেশও।
ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটারদের আউট হওয়ার ধরণও ছিল হতাশাজনক। লো-স্কোরিং ম্যাচেও অনিয়ন্ত্রিত আগ্রাসী শট খেলেছেন অনেকে। আর সেই ব্যর্থতার পরও প্রধান কোচ ফিল সিমন্স দায় দিলেন অধিনায়ক লিটন দাসের অনুপস্থিতিকে।
তিনি বলেন, ‘আসলে আমরা এখনও এমন দল হইনি, যেখানে অধিনায়ককে হারিয়ে সেই খালি জায়গা পূরণ করতে পারব। ভালো ফর্মে থাকা অধিনায়ককে হারানো আমাদের জন্য বড় ধাক্কা। লিটন যেভাবে খেলছিল, সেটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অন্য দলের মতো আমাদের স্কোয়াডে তেমন গভীরতা নেই। ’
তিন ম্যাচে সুযোগ পেয়ে চমক দেখানো সাইফ হাসানের প্রশংসাও করেছেন বাংলাদেশের ক্যারিবীয় কোচ, সাইফ অবশ্যই এই টুর্নামেন্টে আমাদের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক ছিল। এর সঙ্গে বোলারদের পারফরম্যান্সও দারুণ ছিল। পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই তারা অসাধারণ করেছে। ’
ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেট প্রসঙ্গে সিমন্সের যুক্তি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিজ্ঞতা বাড়লে পারফরম্যান্সের ঘাটতিও কমে আসবে, ‘আমাদের যত বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার সুযোগ হবে, ছেলেরা তত ভালোভাবে বুঝতে পারবে কীভাবে খেলতে হবে। মাঝেমধ্যে দেখি ব্যাটারদের স্ট্রাইকরেট ১২৬-১৩০—এটা ঠিক আছে। ছক্কা হাঁকানোর ক্ষেত্রে আমরা সবার ওপরে। সমস্যা হচ্ছে লম্বা সময় ব্যাট করতে না পারা, ভালো পার্টনারশিপ গড়তে না পারা। ’
আরইউ