বিসিবি নির্বাচনে জেলা ও বিভাগের অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পাঠানো চিঠির কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত। একইসঙ্গে নির্বাচনে ১৫টি ক্লাবের অংশগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে হাইকোর্টের আদেশও স্থগিত করেছেন আদালত।
রোববার আপিল বিভাগের বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের নেতৃত্বাধীন চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিসিবি সভাপতির চিঠির কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ওই রুলে জানতে চাওয়া হয়, জেলা ও বিভাগের অ্যাডহক কমিটি থেকে কাউন্সিলর চেয়ে দেওয়া চিঠি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছিলেন।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ ও ব্যারিস্টার অনীক আর হক। বিসিবির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান।
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল গত ১৮ সেপ্টেম্বর জেলা ও বিভাগের অ্যাডহক কমিটিগুলোর কাছে কাউন্সিলর মনোনয়নের জন্য চিঠি পাঠান। তাতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালে সংশোধিত বিসিবির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাধারণ পরিষদ গঠন ও ২০২৫ সালের পরিচালনা পরিষদ নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি বা আহ্বায়কের কাছে রেজিস্ট্রার্ড ডাক ও কুরিয়ারে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ১১ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেয়, কাউন্সিলর মনোনয়ন দিতে হলে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অনুমোদিত বিসিবির সংশোধিত গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ৯.১ (ক) ও (খ) অনুসরণ করতে হবে।
পরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর চেম্বার জজ আদালত হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের মেয়াদ বৃদ্ধি করেন। আজ পুনরায় শুনানির পর আদালত আগের আদেশ বহাল রাখার নির্দেশ দেন।
আরইউ