ঢাকা: পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ জিতে সিরিজ বাঁচালো টিম ইন্ডিয়া। সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২-১ এ পিছিয়ে থেকে চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বারাম স্টেডিয়ামে ৩৫ রানের জয় তুলে নিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল।
আগে ব্যাটিং করা ভারত নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৯৯ রান। ৩০০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রান সংগ্রহ করে দ. আফ্রিকা। ভারতের হয়ে শতক হাঁকান বিরাট কোহলি। আর প্রোটিয়াদের ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ শতকের মালিক হয়ে সেঞ্চুরি করেন এবিডি ভিলিয়ার্স।
ভারতের ওপেনার শিখর ধাওয়ান ব্যক্তিগত ৭ রান করে বিদায় নেওয়ার আগেই আরেক ওপেনার রোহিত শর্মা ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তিন নম্বরে নামা বিরাট কোহলি করেন ১৩৮ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ রান করতে কোহলি ১৪০ বলে ৬টি চার আর ৫টি ছক্কা হাঁকান। চার নম্বরে নামা আজিঙ্কা রাহানে করেন ৪৫ রান। আর সুরেশ রায়নার ব্যাট থেকে আসে আরও ৫৩ রান। স্বাগতিক দলপতি ধোনি করেন ১৫ রান।
প্রোটিয়াদের হয়ে তিনটি করে উইকেট তুলে নেন ডেল স্টেইন এবং কেগিসো রাবাদা। এছাড়া একটি উইকেট পান ক্রিস মরিস।
৩০০ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬৪ রানেই থেমে যায় দ. আফ্রিকার ইনিংস। ওপেনার হাশিম আমলা ব্যক্তিগত ৭ রান করে ফেরেন। আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি ককের ব্যাট থেকে আসে ৪৩ রান। ৩৫ বলে ৬টি চার আর একটি ছক্কায় ডি কক তার ইনিংসটি সাজান। তিন নম্বরে নামা ফাফ ডু প্লেসিস ১৭ রান করে বিদায় নেন।
প্রোটিয়া দলপতি এবিডি ভিলিয়ার্স খেলেন ১১২ রানের দারুণ এক ইনিংস। ৪৬টি অর্ধশতকের মালিক ভিলিয়ার্স তার ২২তম শতকের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিক হন। প্রোটিয়াদের হয়ে দ্বিতীয় ওয়ানডে রান সংগ্রাহক ডি ভিলিয়ার্স ২০১৫ সালে এখন পর্যন্ত ৪টি শতকের পাশাপাশি এক হাজার রানের কোটাও পূর্ণ করেন। এ ম্যাচে ১১২ রানের ইনিংসটি সাজাতে ভিলিয়ার্স ১০৭ বল মোকাবেলা করে ১০টি চার আর দুটি ছক্কা হাঁকান।
এছাড়া ডেভিড মিলার ৬, ফারহান বেহারদিয়েন ২২, ক্রিস মরিস ৯, অ্যারন ফ্যাঙ্গিসো ২০ রান করেন।
ভারতের হয়ে ভুবনেশ্বর কুমার তিনটি উইকেট তুলে নেন। দুটি উইকেট দখল করেন হরভজন সিং।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৬ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর ২০১৫
এমআর