ঢাকা: তারকাদের ক্রিকেট-স্বপ্নের বীজ বপন হয় স্কুল ক্রিকেট থেকেই। খালেদ মাহমুদ সুজন, মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকারের মতো তারকা বাংলাদেশি ক্রিকেটাররা হঠাৎ করেই তারকা খ্যাতি পাননি।
মেহেদী হাসান মিরাজের মতো উঠতি ক্রিকেটারদের জাতীয় দলের পাইপলাইনে সুযোগ পাওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে দিনের পর দিন। বলা যায় তারকা এ ক্রিকেটারদের প্রতিভা স্কুল পর্যায় থেকে নির্বাচকদের দৃষ্টি কেড়ে রাখে। জাতীয় দলের সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা কম-বেশি সবাই খেলেছেন স্কুল ক্রিকেটে।
আবারো শুরু হচ্ছে প্রতিভাবান ক্রিকেটার অন্বেষণের কর্মকাণ্ড। আগামী বছরের জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুরু হবে ‘প্রাইম ব্যাংক ইয়ং টাইগার্স ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’। যার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসবে ভবিষ্যতের সুজন, মুশফিক, সৌম্যরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) ‘প্রাইম ব্যাংক ইয়ং টাইগার্স ক্রিকেট টুর্নামেন্ট’ এর লোগো উন্মোচন হয়।
সেখানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার খালেদ মাহমুদ সুজন, বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস, বিসিবির বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান এবং প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেটের প্রতিনিধি তানজিল চৌধুরি।
প্রতি বছরই এ টুর্নামেন্ট চালিয়ে আসছে বিসিবি। এবারে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে ৬ বছরের চুক্তি করেছে প্রাইম ব্যাংক। স্কুল পর্যায় থেকে মেধাবী ক্রিকেটারদের বের করে আনার জন্য বিসিবির সঙ্গে কাজ করবে তারা।
এ প্রসঙ্গে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, ছয় বছরের আওতায় স্কুল টুর্নামেন্ট চলাকালীন সময়ে সকল ধরনের আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে প্রাইম ব্যাংক। মাঠের স্কোরবোর্ড থেকে শুরু করে যেকোনো সুবিধা দিতে তারা বিসিবির সঙ্গে যুক্ত থাকবে।
এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নেবে ৫৪০টি স্কুল। যেখানে খেলবেন প্রায় সাড়ে সাত হাজার ক্ষুদে ক্রিকেটার। দেশের ৭০টি ভেন্যুতে ৫০ ওভারের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে বলে লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস বলেন, প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের ভবিষ্যতের জাতীয় দলে তুলে আনার জন্য কাজ করবে বিসিবি এবং প্রাইম ব্যাংক। আমাদের সঙ্গে কাজ করতে এগিয়ে আসার জন্য বোর্ডের পক্ষ থেকে আমি প্রাইম ব্যাংককে সাধুবাদ জানাই।
প্রাথমিকভাবে জেলা পর্যায়ের স্কুলগুলো টুর্নামেন্টে লড়বে। সেখানে চ্যাম্পিয়ন স্কুলগুলোকে পরবর্তীতে লড়তে হবে বিভাগীয় পর্যায়ে। সেখানে থেকে জাতীয় পর্যায়ে আসবে স্কুলের ক্ষুদে ক্রিকেটাররা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, ২৯ অক্টোবর ২০১৫
এইচএল/এমআর