ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বরিশালকে হারিয়ে শীর্ষে কুমিল্লা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০১৫
বরিশালকে হারিয়ে শীর্ষে কুমিল্লা ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ২৩তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ক্রিস গেইল-মাহামুদুল্লাহর বরিশাল বুলস এবং শোয়েব মালিক-মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। বরিশালকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষেই রইল কুমিল্লা।



মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বুলস ৬ উইকেট হারিয়ে তোলে ১০৫ রান। জবাবে ১৫ বল হাতে রেখে ১৭.৩ ওভার ব্যাট করে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ভিক্টোরিয়ান্স। ৭৬ রান করে অপরাজিত থাকেন কুমিল্লার পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ।

বুলসের হয়ে ব্যাটিং উদ্বোধন করতে নামেন ক্যারিবীয় দুই ওপেনার ক্রিস গেইল ও এভিন লুইস। ওপেনিং পার্টনারশিপে দুই ক্যারিবীয়ান তোলেন ২১ রান। ব্যাট হাতে বিপিএলের তৃতীয় আসরে নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যর্থ আগেই চার-ছক্কার বিনোদন দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া ক্রিস গেইল। শোয়েব মালিকের করা পঞ্চম ওভারে এলবির ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন গেইল। আউট হওয়ার আগে ১১ বলে একটি মাত্র বাউন্ডারিতে ৮ রান করেন গেইল।

গেইলের বিদায়ের পর স্কোরবোর্ডে আরও ১৯ রান যোগ করেন লুইস আর রনি তালুকদার। ইনিংসের নবম ওভারে ড্যারেন স্টিভেন্স ফিরিয়ে দেন বিপিএলের চলতি আসরের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান লুইসকে। শোয়েব মালিকের তালুবন্দি হয়ে ফেরার আগে বুলসের এ ওপেনার একটি করে চার ও ছক্কায় ২৩ বলে করেন ১৫ রান।

পরের ওভারে আসার জাইদি ফিরিয়ে দেন মেহেদি মারুফকে। রানের খাতা খোলার আগেই বোল্ড হয়ে বুলসের তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরেন মারুফ।

ওয়ান ডাউনে নামা রনি তালুকদার বুলসের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরের পথ ধরেন ইনিংসের ১২তম ওভারে। জাইদির দ্বিতীয় শিকারে ব্যক্তিগত ১৯ রান করে বুলসের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান রনি ইমরুল কায়েসের তালুবন্দি হন। দলীয় ৪৫ রানের মাথায় টপঅর্ডারের চার ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে রানের চাকা ঘোরানোর দায়িত্ব নেন বরিশাল দলপতি মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ আর সাব্বির রহমান।

টাইগার এ দুই ব্যাটসম্যান স্কোরবোর্ডে আরও ৪৩ রান যোগ করেন। দলীয় ৮৮ রানের মাথায় মাহামুদুল্লাহ আবু হায়দারের বলে বোল্ড হয়ে আউট হওয়ার আগে করেন ২৭ বলে চারটি চারের সাহায্যে ২৬ রান। দলীয় একই রানে ২১ বল মোকাবেলা করে সাব্বির ফেরেন। কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে বোল্ড হয়ে ফেরা সাব্বির করেন ১৭ রান।

সেকুজে প্রসন্ন ১৫ আর আমরিত ২ রানে অপরাজিত থাকেন।

এ ম্যাচে কুমিল্লার হয়ে বোলিং করেননি দলপতি মাশরাফি। ৪ ওভার বল করে শোয়েব মালিক একটি উইকেট দখল করতে খরচ করেন ১৫ রান। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রনি, স্টিভেন্স, রাব্বি। দুটি উইকেট নেন ৪ ওভারে ১২ রান দেওয়া জাইদি।

১০৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসে প্রথম বলেই ফেরেন কুমিল্লার ওপেনার লিটন দাস। দলীয় আর ব্যক্তিগত শূন্য রানে সাব্বিরের হাতে ধরা পড়েন লিটন। স্কোরবোর্ডে ১৪ রান উঠতেই লিটনের পথ ধরেন ইমরুল কায়েস। আল আমিনের করা চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে উইকেটের পেছনে থাকা রনি তালুকদারের গ্লাভসবন্দি হয়ে ফেরার আগে ইমরুল ৮ বল খেললেও নিজের রানের খাতায় শূন্য বসিয়ে নেন।

রানের চাকা ঘুরিয়ে ৩৪ রানের জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নেন পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান আহমেদ শেহজাদ এবং শোয়েব মালিক। দশম ওভারে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে উইকেটের পেছনে থাকা রনি তালুকদারের স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন মালিক। বিদায়ের আগে পাকিস্তানি এ ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে আসে ৮ রান।

দলের হাল ধরে দারুণ খেলতে থাকা আহমেদ শেহজাদ করেন অপরাজিত ৭৬ রান। তার ৬৩ বলের ইনিংসে ছিল ১০টি চার আর একটি ছক্কা। ১৮ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন জাইদি।

১৭.৩ ওভার ব্যাট করে ১০৬ রান তোলে কুমিল্লা।

** কুমিল্লার টার্গেট ১০৬ রান

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।