ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

গেইল ‘শো’ দেখলো মিরপুর

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৯, ২০১৫
গেইল ‘শো’ দেখলো মিরপুর ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মিরপুর থেকে: বিপিএলের রাতের ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হতেই শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চার পাশের গ্যালারি থেকে শুধু এই একটি নামই হাজার হাজার দর্শকের মুখ থেকে বেরিয়ে আসে। কারণ ব্যাট হাতে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে বরিশালের হয়ে জ্বলে উঠেন ক্যারিবীয় ব্যাটিং টর্নেডো ক্রিস গেইল, দেখা পেয়েছেন এবারের বিপিএএলে নিজের প্রথম অর্ধ শতকের।

মাত্র ৮ রানের জন্য শতক বঞ্চিত হন অপরাজিত থাকা গেইল।

গেইলের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ভাইকিংসের ছুঁড়ে দেওয়া ১৩৬ রানের লক্ষ্য ৫ ওভার বাকি থাকতেই পেরিয়ে যায় বরিশাল। ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় বরিশাল।

বিপিএলের আসরে সর্বোচ্চ তিনটি শতকের মালিক গেইল প্রতিপক্ষ চিটাগং ভাইকিংসের বোলারদের এক একটি বল কখনও উড়িয়ে মাঠের বাইরে ফেলেছেন, আবার কখনো মাটি গড়িয়ে সীমানা ছাড়া করেছেন।

ব্যাট হাতে জ্বলে উঠা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সব চাইতে বড় এই স্পন্সর এবারের বিপিএলে এই ম্যাচের আগেও অবশ্য দুটি ম্যাচ খেলেছেন। তবে সেই দুটিতে বড় রানের দেখা পাননি। ৬ ডিসেম্বর ঢাকায় নিজের প্রথম ম্যাচে সিলেট সুপারস্টারসের বিপক্ষে খেলেছেন ৮ রানের ইনিংস। পরেরটি ৭ ডিসেম্বরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষেও খেলেছেন ওই ৮ রানের এক ছোট্ট ইনিংস।
 
এই ম্যাচে গেইল প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান বরিশালের ব্যাটিং ইনিংসের তৃতীয় ওভার থেকে। ওই ওভারের প্রথম বলেই শফিউলকে চার মেরে ঝড়ো ইনিংসের শুরু করেন গেইল। পরেরটি চতুর্থ ওভারের শেষ বলে। নাঈমকে চার মেরে নিজের দ্বিতীয় বাউন্ডারি তুলে নেন। এরপর ষষ্ঠ ওভারে এক রকম উড়িয়েই দেন চিটাগংয়ের বোলার আসিফকে। তার প্রথম বল নো হলে পরের বলে ছয়, এরপর চার হাঁকালেও পরের বলে কোনো রান পাননি। তারপর আবারো চার, পঞ্চমটি বেশ সতর্কতার সাথে রক্ষণাত্মক খেলে ছয় নম্বর বলটিকে আবার চার হাঁকিয়ে ১৯ রান নিয়ে পুরো মাঠে উত্তাপ ছড়ান।

১২তম ওভারে দিলশানকে ছক্কা হাঁকানো গেইল পরের ওভারে তাসকিনের বল লংঅনের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে পাঠান। ১৪তম ওভারে বিলওয়াল ভাট্টিকে ডিপ-মিডউইকেটের উপর দিয়ে সীমানা ছাড়া করেন।

১৫তম ওভারে আরও হিংস্ররূপ ধারণ করেন ক্যারিবীয় দানব। মেন্ডিসের করা ওভারটিতে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন গেইল। প্রথম, দ্বিতীয় ও পঞ্চম বল লংঅন দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দেন তিনি। ষষ্ঠ বলটি মেন্ডিসের মাথার উপর দিয়ে পাঠিয়ে দিয়ে খেলার ইতি টানেন।

৯২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়ার আগে গেইলের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪৭ বলে। ইনিংসে ১৯৫.৭৪ স্ট্রাইক রেটে ৬টি বাউন্ডারির পাশাপাশি গেইলের ব্যাট থেকে আসে ৯টি ওভার বাউন্ডারি।

ম্যাচ শেষে গেইল জানান, ‘রানের মধ্যে ফিরতে পেরে ভালো লাগছে। দর্শকরা ভালো ক্রিকেট দেখতে পছন্দ করে। প্রথম দুই ম্যাচে ভালো রান করতে পারিনি। আজকের ইনিংসটা তাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আজকের উইকেটও বেশ ভালো ছিল। ব্যাটে ঠিক ভাবেই বল আসছিল। স্পিন তেমন সুবিধা পায়নি। আমাদের উচিৎ পরের ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার। ’

বাংলাদেশ সময়: ২২২৭ ঘণ্টা, ৯ ডিসেম্বর ২০১৫
এইচএল/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।