রোববার (৫ মার্চ) পূর্ণ রানআপে বল করতে গিয়ে ক্ষতস্থানে কোনোরকম ব্যাথা অনুভব করেননি মাশরাফি। বল গ্রিপ করতেও কোন অসুবিধা হয়নি, অসুবিধা হয়নি বল ছাড়ার সময়ও।
এ মাসের ২৫ তারিখ থেকে কলম্বোর রাঙ্গিরি ডাম্বুলা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে নিজেকে পুরোদমে ফিরে পেতে বোলিং অনুশীলনে আসেন মাশরাফি। শুরুটা অবশ্য করেছেন শর্ট রানআপে।
প্রথম ওভারের প্রথম দুই বল শর্ট রানআপ ডেলিভারির পরই তৃতীয়টি শুরু করেন পূর্ণ রানআপ থেকে। প্রথম দুই বলের শেষটি গিয়ে সজোরে আঘাত করেন অফস্ট্যাম্পের ঠিক উপরে। এরপর যখন পূর্ণ রানআপে করা প্রতিটি ডেলিভারিই দিয়েছেন দারুণ লাইন, লেংথ বজায় রেখে। তবে চাপ দিয়ে যে বলগুলো স্ট্যাম্পে ছেড়েছেন সেগুলো কিছুটা স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে যাচ্ছিল। শর্ট রানআপের মতো পূর্ণ রানআপেও দু’বার স্ট্যাম্পে লাগিয়েছেন। আর একবার তো স্ট্যাম্প উপরেই ফেললেন।
তবে আশার কথা হলো, তার বোলিং অ্যাকশন দেখে একবারের জন্যও মনে হয়নি যে বৃদ্ধাঙ্গুলের আঙ্গুলের উপর দিয়ে এত বড় ঝড় বয়ে গেছে। এভাবে চার ওভার বোলিং শেষে ফেরেন ড্রেসিংরুমে। নিজেকে ফিরে পাওয়ার মিশনে সোমবার (৬ মার্চ) মাশরাফি ব্যস্ত থাকবেন রানিং ও জিম নিয়ে। মঙ্গলবার আবার নামবেন বোলিং অনুশীলনে।
প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে টি-২০ সিরিজের শেষ ম্যাচের ১৮তম ওভারে মাশরাফির দ্বিতীয় বলটি ড্রাইভ করেছিলেন কোরি অ্যান্ডারসন। ফলোথ্রুতে ডাইভ দিয়ে আটকানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলে মারাত্মক চোট পান। ৬-৮ সপ্তাহের জন্য মাঠের বাইরে চলে যেতে হয়। পুনর্বাসনের মাধ্যমে নিজেকে ফিরে পেতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মাশরাফি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, ৫ মার্চ, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম