ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

গতবারের পরিসংখ্যান, এবারের পরিসংখ্যান

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৪৪ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৭
গতবারের পরিসংখ্যান, এবারের পরিসংখ্যান ছবি: সংগৃহীত

আরেকটি জমজমাট আইপিএল আসর শেষ হলো। দশম আসরে এসে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আইপিএলের ইতিহাসে তারাই সর্বোচ্চ শিরোপা ঘরে তোলে।

লো-স্কোরিং তবে উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনালে পুনে সুপারজায়ান্টসকে ১ রানে হারিয়ে শিরোপা উল্লাসে মাতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে চার-ছক্কার ফুলঝুরি আর দারুণ সব বোলিং স্পেলও উপভোগ করেন দর্শকরা।

রোববার (২১ মে) হায়দ্রাবাদের স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে পুনেকে ১৩০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় রোহিত শর্মার মুম্বাই। ১ রানের আক্ষেপে পুড়ে পুনে তোলে ১২৮ রান।

এবারের আসরে পরিসংখ্যান ঘাঁটলে জানা-অজানা অনেক তথ্যই উঠে আসবে। গত আসরের সঙ্গে পাঠকরা তুলনাও করতে পারবেন। যাকে সংখ্যায় সংখ্যায় তুলে ধরা যেতে পারে। তারই একটি চিত্র পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো:

ব্যাটিং:
মোট রান: ১৮,৭৭৫ (গত আসরে ১৮,৮৬২)।
বাউন্ডারি থেকে রান: ১০,৬৬২  (গত আসরে ১০,৩৬০)।
ছক্কা: ৭০৫টি (গত আসরে ৬৩৮টি)।
ফিফটি: ৯৫টি (গত আসরে ১১০টি)।
সেঞ্চুরি: মোট ৫টি, হাশিম আমলা ২টি, ডেভিড ওয়ার্নার ১, সঞ্জু স্যামসন ১টি, বেন স্টোকস ১টি। (গত আসরে ৭টি-বিরাট কোহলি একাই চারবার সেঞ্চুরি উদযাপন করেন)।
দীর্ঘতম ছক্কা: ১০৯ মিটার, (গত আসরে ১১৭ মিটার-বেন কাটিং, বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ফাইনালে)।
সবচেয়ে বেশি রান: ৬৪১ ডেভিড ওয়ার্নার (গত আসরে ৯৭৩, বিরাট কোহলি)।
সর্বোচ্চ ইনিংস: ১২৬, ডেভিড ওয়ার্নার। (গত আসরে ১২৯ অপরাজিত এবি ডি ভিলিয়ার্স)।
দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর: ২৩০/৩-কিংস ইলিভেন পাঞ্জাব, প্রতিপক্ষ মুম্বাই-২২৩/৬ (গত আসরে বেঙ্গালুরু-২৪৮/৩, প্রতিপক্ষ-গুজরাট লায়ন্স)।
সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় (রান): ১৪৬, ২১২ করেছিল মুম্বাই, জবাবে দিল্লি ৬৬ রানে অলআউট। (গত আসরে ১৪৪ গুজরাটের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু)।
সবচেয়ে বড় ব্যবধানের জয় (উইকেট): ১০ উইকেটে গুজরাটকে হারায় কলকাতা। (গত আসরে ১০ উইকেট গুজরাটের বিপক্ষে হায়দ্রাবাদ)।
সর্বোচ্চ গড়: ৬০.০০-হাশিম আমলা। (গত আসরে ৮১.০৮-বিরাট কোহলি)।
সর্বোচ্চ ফিফটি: ৫টি-রবিন উথাপ্পা, ডেভিড ওয়ার্নার (গত আসরে ৯টি-ডেভিড ওয়ার্নার)।
সর্বাধিক শূন্য: ৩ বার করে সার্দুল ঠাকুর, গ্রান্ডহোম, ম্যাক্সওয়েল আর রিশব পান্থ। (গত আসরে ৩ বার-শ্রেয়াস আয়ার)।
সর্বাধিক ছক্কা: ২৬টি-ম্যাক্সওয়েল আর ওয়ার্নার (গত আসরে ৩৮টি-বিরাট কোহলি)।
ইনিংসে সর্বাধিক ছক্কা: ৯টি-ডি ভিলিয়ার্স, রিশব পান্থ (গত আসরে ১২টি-এবি ডি ভিলিয়ার্স, গুজরাটের বিপক্ষে ১০ চার ও ১২ ছক্কায় ১২৯ রান)
চার-ছক্কায় এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান: ৮৮ রান-ওয়ার্নার, কলকাতার বিপক্ষে ১০টি চার আর ৮টি ছক্কায় করেছিলেন ১২৬ রান। (গত আসরে ১১২ রান-এবি ডি ভিলিয়ার্স, গুজরাটের বিপক্ষে ১২৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১০ চার ও ১২টি ছক্কা হাঁকান)।

বোলিং:
মোট উইকেট: ৭০৮টি (গত আসরে ৬৬৫টি)।
সর্বোচ্চ উইকেট: ২৬টি-ভুবনেশ্বর কুমার (গত আসরে ২৩টি-ভুবনেশ্বর কুমার)।
সেরা বোলিং ফিগার: ৪ ওভারে ১৭ রানের বিনিময়ে ৫ উইকেট-গুজরাটের অ্যান্ড্রু টাই। (গত আসরে ৪ ওভারে ৬/১৯ অ্যাডাম জাম্পা)।
ইনিংসে সবচেয়ে খরুচে বোলিং: ৪ ওভারে ৫৯ রান করে দিয়েছেন দিল্লির কেগিসো রাবাদা এবং প্যাট কামিন্স। (গত আসরে ৬১ রান-শেন ওয়াটসন, হায়দ্রাবাদের বিপক্ষে ফাইনালে)।
হ্যাটট্রিক: ৩টি (গত আসরে ১টি-আক্সার প্যাটেল)।
সর্বোচ্চ গতির বল: ঘণ্টায় ১৫৩.৫৬ কি.মি-দিল্লির পেসার প্যাট কামিন্স (গত আসরে ঘণ্টায় ১৫০.৩১ কি.মি-জেসন হোল্ডার)।
সুপার ওভার: ১ বার (গতবার হয়নি)।

ফিল্ডিং:
সর্বোচ্চ ক্যাচ: ১৫টি-মুম্বাইয়ের কাইরন পোলার্ড (গত আসরে ১৯টি-এবি ডি ভিলিয়ার্স)।
এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ক্যাচ: ৩টি পাঞ্জাবের ইয়ন মরগান (গত আসরে ৩টি সৌরভ তিওয়ারি)।

উইকেটরক্ষক:
সর্বাধিক ডিসমিসাল: ১৫টি-কলকাতার উথাপ্পা, ৯টি ক্যাচ, ৬টি স্ট্যাম্পিং। (গত আসরে ১৮টি নামান ওঝা)
ইনিংসে সর্বাধিক ডিসমিসাল: ৪টি-পাঞ্জাবের রিদ্ধিমান সাহা (গত আসরে ৪টি -পার্থিব প্যাটেল, গুজরাটের বিপক্ষে)।

পার্টনারশিপ:
সর্বোচ্চ রানের জুটি: ১৮৪ কলকাতার গৌতম গম্ভীর আর ক্রিস লিন, গুজরাটের বিপক্ষে (গত আসরে ২২৯ কোহলি ও ডি ভিলিয়ার্স, গুজরাটের বিপক্ষে)।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৫ ঘণ্টা, ২২ মে ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।