যা হোক অবশেষে দক্ষিণ আফ্রিকার ইমিগ্রেশন রুবেলকে ছাড়পত্র দিয়েছে, এটাই ১৬ কোটির এই ব-দ্বীপের ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য বড় স্বস্তির খবর। সবকিছু ঠিক থাকলে আজ রাত ১টা ১৫ মিনিটের ফ্লাইটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিমানে চাপছেন তিনি।
স্বস্তি ফিরেছে রুবেলের মনেও। গত শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সতীর্থদের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিমানে উঠার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এমিরেটস এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ তাকে বিমানের দরজা থেকে ফিরিয়ে দেয়ায় যে কষ্ট তিনি পেয়েছেন, দক্ষিণ আফ্রিকা ইমিগ্রেশনের দেয়া নিরাপত্তা ছাড়পত্র পেয়ে তার সেই কষ্ট লাঘব হয়েছে।
‘আমরা সবাই একসাথে যাচ্ছিলাম। হঠাৎ করে এরকম একটা সমস্যার মুখোমুখি হবো ভাবিনি। যেহেতু হয়ে গেছে তাই বলার কিছু ছিল না। তবে ভালো লাগছে যে, সমাধান হয়ে গেছে। ’ বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বাংলানিউজকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি একথা বলেন।
কিন্তু ছাড়পত্র হাতে পেলেও সিরিজের মহামূল্যবান তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ (২১-২৩ সেপ্টেম্বর) থেকে বঞ্চিত হয়েছেন এই ডানহাতি পেসার। প্রস্তুতি ম্যাচটিকে মহামূল্যবান বলার কারণ হলো, বাংলাদেশের হয়ে এর আগে কখনই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যাওয়া হয়নি রুবেলের। সিরিজে ভালো কিছু করতে এবং প্রোটিয়াদের আবহাওয়া ও উইকেটের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে ম্যাচটির বিকল্পই মেলা ভার।
বিষয়টি তিনিও নিজেও স্বীকার করছেন, ‘প্রস্তুতি ম্যাচটি খেলতে পারিনি এটা একটা সমস্যা। তবে খেলতে পারলে ওখানকার আবহাওয়া ও উইকেট সম্পর্কে আমার একটা ধারণা থাকতো। ’ তবে সমস্যা উৎরে যেতে পারবেন বলে বিশ্বাস রুবেলের, ‘আমি ওখানে সময় পাব, গিয়ে রিকোভারি করতে পারবো। ’
এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজে সেরা একাদশে জায়গা পেলে নিজের শতভাগ দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়ে রাখলেন, ‘আমি যদি ম্যাচে সুযোগ পাই, অবশ্যই আমার শতভাগ দিয়ে খেলবো। অধিনায়ক আমাকে ম্যাচের যে অবস্থাতেই নিয়ে আসবে আস্থার প্রতিদান দিতে চেষ্টা করবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
এইচএল/এমআরএম