তবে একথা অনস্বীকার্য যে, বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশ আজ যে উচ্চতায় অবস্থান করছে সেখানে যেতে সভাপতি হিসেবে পাপনের ভূমিকা অস্বীকার করা সমীচীন হবে না। বিষয়টি পাপনও নিজেও হয়তো অনুধাবন করেন।
তারপরেও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে চার বছর দায়িত্ব পালন শেষে তার অধ্যায়ের সফলতার কিছু চিত্র তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরতেই পারেন।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের বর্তমান পরিচালনা পর্ষদের শেষ দিন। এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নিজের সফলতা ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরলেন এই বিদায়ী সভাপতি। সফলতার কথা বলতে গিয়ে তিনি প্রথমেই বললেন ওয়ানডে ক্রিকেট বদলে যাওয়া বাংলাদেশের কথা। সেখানে ছিল প্রথমবারের মতো টাইগারদের বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল (২০১৫), আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রথমবারের মতো খেলার যোগ্যতা অর্জন করে সেমি ফাইনাল খেলা। আর দেশের মাটিতে ভারত, পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওয়ানডেতে প্রথমবারের মতো সিরিজ হারানোর প্রসঙ্গতো ছিলোই।
তিনি জানান, ‘টিম ভালো খেলেছে, এটা অস্বীকার করার কোনো পথ নেই। আবার খারাপও খেলেছে। তবে ওয়ানডেতে আমরা খুব ভালো খেলেছি। বিশ্বকাপে আমরা কোয়ার্টার ফাইনালে গেলাম। ভারতকে হারানো, আগে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আমরা কোয়ালিফাই করি না; সেই জায়গায় সরাসরি গিয়েই সেমিফাইনালে যাওয়া এগুলোই মাইলস্টোন। দেশের মাটিতে আমরা অনেক ভালো খেলেছি। ’
ওয়ানডেতে সাফল্যের কথা জানাতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমবার পাকিস্তানের সাথে আমরা সিরিজ জিতেছি। এটা তো একটা বিরাট ব্যাপার। ভারত, সাউথ আফ্রিকার সাথে সিরিজ জিতেছি। এটা তো আগে অকল্পনীয় ছিলো, যে আমরা সিরিজ জিতবো, হঠাৎ একটা ম্যাচ জিততাম কিন্তু কখনো সিরিজ জিতিনি। ’
বিগত তিন বছরে ওয়ানডেতে ধারাবাহিক সফলতার কথা পাপন অবলীলায় বলে গেলেও টেস্ট ক্রিকেটে সফলতার কথা ততটা বলতে পারেননি পাপন। তারপরেও যেটুকু এসেছে তাতে তাকে তুষ্টই মনে হলো, ‘টেস্টে আমরা এখনও পিছিয়ে আছি। তারপরও আমরা ইংল্যান্ডের সাথে একটা টেস্ট জিতেছি, সিরিজ ১-১ ড্র করেছি। অস্ট্রেলিয়ার সাথে ১-১ ড্র করা, শ্রীলঙ্কায় গিয়ে একটা জেতা, সিরিজ ড্র করা। মোটামুটি ভালো হয়েছে। ’
উন্নতির কোন শেষ নেই। তার অধ্যায়ে সাদা ও রঙিন পোশাকে লাল-সবুজের দল যতটুকুই এগিয়েছে তা সামনের দিনগুলোতে ধরে রাখতে হবে বলে পরামর্শ দিলেন সদ্য বিদায়ী এই টাইগার সভাপতি, ‘এখনও অনেক দূর যাওয়া বাকি। দেশের মাটিতে যত ভালো খেলি বাইরে কিন্তু অত ভালো খেলি বলা যাবে না। সাউথ আফ্রিকায় যে কন্ডিশন দেখছেন, এইখানটায় কিন্তু আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এখানে উন্নতির অনেক জায়গা আছে, অনেক কিছু শেখার আছে। আমরা একটা জায়গায় পৌঁছাতে পেরেছি, বাংলাদেশকে একটা জায়গায় নিয়ে যেতে পেরেছি। ওটাকে ধরে রাখাটাও একটা চ্যালেঞ্জ হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০৫২ ঘণ্টা, ১৭ অক্টোবর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি