রোববার (২২ অক্টোবর) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া লাউঞ্জে সংবাদ মাধ্যমের সামনে এমন অভিযোগ করেন পেসার শাহাদাত।
তিনি জানান, ‘কুমিল্লা আমাকে গতবারের বিপিএলের কোনো পেমেন্ট করেনি।
শাহাদাত আরও বললেন, ‘যদি ড্রাফটের বাইরে থেকে প্লেয়ার নেয়, তাহলে নিয়মানুযায়ী অর্ধেক টাকা দিতে হয়। আমি ‘বি’ গ্রেডের ছিলাম। এরপর একদিন মাশরাফি ভাইয়ের সাথে জিমে দেখা হলো। উনি জানতে চাইলেন কীরে তোর টাকা দেয়নি? আমি বললাম-না। উনি আমার জন্য তখনই নাফিসা আপাকে (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্বত্বাধিকারী) ফোন দিয়েছেন। জানালেন যে টাকা দিয়ে দেবে। তারপর আমিও ওনাদের সাথে যোগাযোগ করলাম। যদিও উনারা বলেছিল এবছর টাকা দেবে। কিন্তু আজও পাইনি। আমি ‘বি’ গ্রেডে ছিলাম। এই গ্রেডে ১৬ লাখ টাকা ছিল। আমি ড্রাফটের বাইরে ছিলাম। ড্রাফটের বাইরে যারা থাকে তাদের সাধারণত অর্ধেক পেমেন্ট করে। কিন্তু তাও করেনি। আমি এক টাকাও পাইনি। ’
বিষয়টির সত্যতা জানতে বাংলানিউজের পক্ষ থেকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মিডিয়া ম্যানেজার সোহানুজ্জামান খান নয়নের সাথে যোগাযোগ করা হলে শাহাদাতের অভিযোগ অস্বীকান করেন তিনি। মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের সবার পেমেন্টই ক্লিয়ার। রাজীব মৌসুমের মাঝামাঝিতে দলে যোগ দিয়েছিল, সেজন্য ওরকম করেই ওর সাথে এগ্রিমেন্ট করা ছিল। তবে ওর টাকা দেইনি এরকম কোনো কিছু হয়নি। আমাদের কিন্তু বিপিএল গভর্নিং বডির কাছে সব স্টেটমেন্ট দিতে হয়। তাই এমন কিছু হওয়ার সুযোগ নেই। ’
নয়নের কথা অনুযায়ী শাহাদাতের সাথে আবারো যোগাযোগ করা হলে, কিছুটা অবাক হয়েই পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘কত টাকা দিয়েছে তারা? কার হাতে টাকা দিয়েছে? আমি তো নিজের হাতে ওনাদের থেকে টাকা নেই নি। ওনারা খেলার আগে আমার সই নিয়েছে। আমি জানতে চেয়েছি কিসের সই? বলেছিল চুক্তির জন্য সই। সেই চুক্তির টাকা আজও দেয়নি। আমি কী মিথ্যে কথা বলবো আপনাদের কাছে? একটি টাকাও দেয়নি তারা। ’
বিপিএলের গেল মৌসুমের শেষের দিকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছিলেন শাহাদাত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি