ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

উইকেট বিলিয়ে দিলেন ইনফর্ম মুশফিক

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০১৭
উইকেট বিলিয়ে দিলেন ইনফর্ম মুশফিক ছবি: সংগৃহীত

আগের দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি ও অর্ধশতকের পর মান বাঁচানোর ওয়ানডেতে এসে ব্যর্থ মুশফিকুর রহিমের ব্যাট। দক্ষিণ আফ্রিকার ছুঁড়ে দেওয়া ৩৭০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে মুশফিকের (৮) বিদায়ে ৫১ রানে চতুর্থ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।

দলীয় ২০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি গড়ে তোলাটাই ছিল আসল চ্যালেঞ্জ। ১২তম ওভারে আন্দাইল ফেলুকভায়োকে অযথাই ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে নিজের উইকেটটা বিলিয়ে দিয়ে দলকেও চাপের মুখে ফেলে দিলেন ‘মি. ডিপেন্ডেবল’।

মিড-অফে মুশফিকের ক্যাচটি লুফে নেন কাগিসো রাবাদা।

এ রিপোর্ট লেখা অবধি বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৩ ওভার শেষে ৪ উইকেটে ৫৫। সাকিব ২৭ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২ রানে ব্যাট করছেন।

দ্বিতীয় ওভারেই ড্যান প্যাটারসনের বলে মিড-অফে ফারহান বেহারদিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে হতাশ করেন ইমরুল কায়েস (১)। চতুর্থ ওভারে এলবিডব্লু হয়ে প্যাটারসনের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন লিটন দাস (৬)। ইনজুরির কারণে তামিম ইকবাল ছিটকে পড়ায় একাদশে ফেরেন সৌম্য সরকার। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। পরের ওভারেই দলীয় ২০ রানে কাগিসো রাবাদার বলে স্লিপে আইদেন মার্করামের তালুবন্দি হন সৌম্য (৮)।

কুইন্টন ডি কক, ফাফ ডু প্লেসি ও আইদেন মার্করামের অর্ধশতকে ভর করে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩৬৯ রান তোলে প্রোটিয়ারা। অাগের ম্যাচে ৩৫৪ রানের টার্গেটে নেমে ১০৪ রানে হারতে হয়েছিল মুশফিকদের। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নেয় স্বাগতিক শিবির।

ফারহান বেহারদিন ২৪ বলে ৩৩ ও ‍কাগিসো রাবাদা ১১  বলে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ক্যারিয়ারের নবম ওডিআই সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরে থাকতে ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়েন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি (৯১)। মাশরাফির করা ৪১তম ওভারেই রানআউট হন অভিষিক্ত আইদেন মার্করাম (৬৬)। দলীয় স্কোর তখন ২৮৯/৩। ১৩২ রানে দুই উইকেট হারানোর পর এ দু’জনের ১৫১ রানের পার্টনারশিপেই বড় স্কোরের ভিত পায় স্বাগতিক শিবির।

ইস্ট লন্ডনের বাফেলো পার্কে ইনিংসের ১৭.৫ ওভারে এসে উইকেটের দেখা পায় টাইগাররা। বাভুমাকে (৪৮) লং-অনে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন নাসির হোসেনের জায়গায় একাদশে ফেরা মেহেদি হাসান মিরাজ। কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে তার ওপেনিং জুটিতে আসে ১১৯।

১৩ রান যোগ হতেই আবারো মিরাজের স্পিন ঘূর্ণি। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে ছন্দে থাকা ডি কককে মাঠছাড়া করেন এই অফস্পিন অলরাউন্ডার। আউট হওয়ার আগে ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান।

ম্যাচের শেষদিকে একই ওভারে জোড়া আঘাত হেনে ওডিআই সিরিজে উইকেট খরা কাটান তাসকিন আহমেদ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষিক্ত উইলেম মুল্ডারকে (২) বোল্ড করার পর আন্দাইল ফেলুকভায়োকে (৫) মুশফিকুর রহিমের গ্লাভসবন্দি করেন। আগের ওভারেই (৪৬তম) রুবেল হোসেনের বলে মাশরাফি বিন মর্তুজার ক্যাচে পরিণত হন দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৭৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলা এবি ডি ভিলিয়ার্স (২০)।

অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশকে পঞ্চাশতম ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেন মাশরাফি। দুই টেস্ট আর দুই ওয়ানডের পর টস জয়ের দেখা পান ডু প্লেসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ২২ অক্টোবর, ২০১৭
এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।