টেন্ডুলকারের আত্মজীবনী ‘প্লেয়িং ইট মাই ওয়ে’ থেকে অংশ বিশেষ নিয়ে ছোটদের জন্য বিশেষভাবে প্রকাশিত হয়েছে ‘চেজ ইওর ড্রিমস’। যে বইকে বলা হচ্ছে ছোটদের জন্য প্রথম প্রকাশিত কোনো ভারতীয় ক্রীড়াবিদের আত্মজীবনী।
আশির দশকের শুরুর দিকে টেন্ডুলকারের শহর মুম্বাইয়ে চীনা খাবার খুব জনপ্রিয় হতে শুরু করেছিল। সেটা জানতে পারেন টেন্ডুলকার ও ছোটো-বড় বন্ধুরা। সবাই মিলে ঠিক করেন, চাঁদা তুলে চীনা খাবার খেতে যাবেন। টেন্ডুলকারের আত্মজীবনীতে তিনি জানান, ‘আমরা সবাই দশ টাকা করে চাঁদা দিয়েছিলাম। ওই সময় আমার কাছে দশ টাকার মূল্য অনেক ছিল। একটা নতুন অভিজ্ঞতা হবে বলে তখন আমি খুব উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। নতুন খাবার টেস্ট করার জন্য ভীষণভাবে অপেক্ষায় ছিলাম আমি। কিন্তু প্রথম অভিজ্ঞতা যে একেবারেই ভালো ছিল না!’
কারণ, মাস্টার-ব্লাস্টারের ভাগ্যে তেমন খাবারই জোটেনি। টেন্ডুলকার আরও জানান, ‘চাইনিজ রেস্তোরাঁয় গিয়ে শুরুতে অর্ডার দেওয়া হয়েছিল চিকেন আর সুইট কর্ন সুপ। আমরা সবাই মিলে একটা লম্বা টেবিলে বসেছিলাম। শেষ পর্যন্ত যখন সুপের বাটি আমার সামনে এলো, প্রায় কিছুই ছিল না তাতে। সিনিয়র বন্ধুরা প্রায় সবই শেষ করে দিয়েছে। আমরা, গ্রুপের ছোটরা কিছুই পেলাম না। ’
বাজে অভিজ্ঞতার বর্ননা দিতে টেন্ডুলকার যোগ করেন, ‘মেইন ডিশ নিয়েও একই সমস্যা দেখা দেয়। ফ্রাইড রাইস আর চাউমিন নিয়েও একই ব্যাপার হলো। দু-এক চামচের বেশি আমার ভাগ্যে কিছু জোটেনি। খুব বেশি হলে আমি প্রত্যেকটি থেকে ২ চামচ করে পেয়েছিলাম। আমাদের গ্রুপের বড়দের জন্য সেই সন্ধ্যাটা ভালোই কেটেছিল। আমি অবশ্য খিদে, তেষ্টা নিয়েই বাড়িতে ফিরেছিলাম। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ২৩ অক্টোবর ২০১৭
এমআরপি