দারুণ সেই কীর্তির পর থেকেই সমানে ২৩ বছর বয়সী এই তারকার মোবাইলে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসছে একের পর এক কল, মেসেজ। কম করে হলেও ৪০০ মেয়ে ভক্তের ফোনকল রিসিভ করতে হয়েছে ইমামকে।
পাকিস্তানি স্পোর্টস উপস্থাপিকা ফজিলা সাবা টুইটারে ইমামকে অভিনন্দন জানান। টুইটের রিপ্লাইয়ে ইনজামামের ভাতিজা ইমাম লিখেছেন, ‘থ্যাঙ্কস ফজিলা আন্টি, আপনি আমার ফেভারিট আন্টিদের একজন সেটা কি জানেন!’ এরপর রিটুইটে পাকিস্তানের সেই নারী সাংবাদিক লিখেছেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই এই সিরিজে ইমাম আমাদের নায়ক। তার আন্টি সম্মোধনের জন্য তাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ’
চলতি বছর মার্চে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপে পাকিস্তানের হয়ে খেলতে এসে নিজেদের প্রথম ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৫ রান করার পরদিন দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংয়ের বিপক্ষে করেন ১২০ রান। ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরির জন্য তখনই শিরোনামে এসেছিলেন পাকিস্তানি ওপেনার ইমাম উল হক। তখন জানিয়েছিলেন, একটা সময় ক্রিকেটকে ‘ঘৃণা’ করতেন। রোদে ত্বক পুড়িয়ে ক্রিকেট খেলার কথা চিন্তাও করতেন না। তার পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে ছিল মডেলিং। ইনজামামের ভাতিজা হওয়ার যেমন লাভ আছে, তেমনি তার উল্টো পৃথিবীটাও দেখা হয়ে গেছে তার। জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক যেহেতু ইনজি, তাই মিডিয়া সবসময় লিখেছিল, চাচার জন্যই দলে ইমাম। তবে সবকিছুর উত্তর দিয়েছেন জাতীয় দলে তিন ম্যাচ খেলে সাড়ে ৭৩ গড়ে রান তোলা ইমাম।
ইমামের উত্থান মূলত ২০১৪ এর অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে। সেই বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল তার। তারপর থেকে ঘরোয়া লীগের নিয়মিত পারফরমার ছিলেন। পরবর্তী স্টেশন হয় পাকিস্তান জাতীয় দল। পাকিস্তানের দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে বিশ্বের ১৩তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ওডিআই অভিষেকে সেঞ্চুরির কীর্তি স্পর্শ করেন ইমাম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯৯৫ সালে প্রথম পাকিস্তানি হিসেবে এ তালিকায় নাম লেখান সেলিম এলাহী।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, ২৬ অক্টোবর ২০১৭
এমআরপি
