ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বদলে গেছেন তাসকিন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৭
বদলে গেছেন তাসকিন ছবি: সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে শেষে ৩১ অক্টোবর সকালে দেশে ফিরেই রাতে কৈশোরের প্রেমিকা নাঈমার সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তাসকিন আহমেদ। বিয়েটা তিনি এমনই এক সময়ে করেছেন যখন শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটের (বিপিএল) উন্মাদনা। তাই বিয়ে পরবর্তী উদযাপনে খুব বেশি সময় পাননি চিটাগং ভাইকিংসের বোলার।


বিয়ের তিনদিন পরেই শনিবার সকাল থেকে (৪ নভেম্বর) দলের সাথে অনুশীলনে নামতে হয়েছে। আর অনুশীলনে নামার পর তাসকিনকে দেখা গেল বোলিং, ফিল্ডিংয়ে অন্য এক তাসকিনকে।

বোঝাই গেল না সদ্য সমাপ্ত দ. আফ্রিকা সিরিজের পুরোটাতেই নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন এই টাইগার পেসার।

তাসকিনের সতীর্থদের খুনসুটি করে বলতে শোনা গেল, ‘বিয়ের পর তাসকিনের সবই ভালো হচ্ছে। ’ মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমির মাঠে অনুশীলন শেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে হেসে হেসে তাসকিন কথা বলছিলেন। সতীর্থদের খুনসুটি তিনিও দারুণ উপভোগ করছেন।

তাসকিন জানালেন, ‘আজকে অনুশীলনে যখন ভালো ফিল্ডিং করছিলাম তখন আমার টিম মেটরা সবাই দুষ্টুমি করছিলো। তারা বলছিল বিয়ে করার পর নাকি সব ভালো হচ্ছে। ভালো হলে তো ভালোই হবে। সত্যি কথা বলতে আমি অনেক খুশি যে নাঈমার সাথেই আমার বিয়ে হয়েছে। কারণ সাত বছর ধরে আমাদের দু’জনের সম্পর্ক। আমি তাসকিন আহমেদ হওয়ার আগে থেকেই আমাদের সম্পর্ক। আমি যখন স্কুলে পড়ি, ক্লাস টেনে তখন থেকেই আমাদের সম্পর্ক। সব মিলিয়ে আমি খুশি আব্বু-আম্মুও খুশি। ’

বিয়েটা হুট করেই করে ফেললেন যে-সংবাদ মাধ্যমের এমন প্রশ্নে তাসকিনের উত্তর, ‘হুটহাট বিয়ের কারণ হলো আব্বু-আম্মু চেয়েছে এই বাসাতে (মোহাম্মদপুরের বাসা) থাকতেই যেন বিয়েটা হয়। কারণ সামনে আমরা নতুন অ্যাপার্টমেন্টে যাব। ’

নাঈমা-তাসকিনের বিয়ের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে আলোচনা, সমালোচনার ঝড় উঠে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন দ. আফ্রিকায় নিজের এবং দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সের পর দেশে ফিরেই কী করে তিনি বিয়ে করতে পারেন। আরেকটি প্রশ্ন ছিল, বিয়েতে এতো তাড়াহুড়ো কেন করলেন তাসকিন!

বিষয়টি তার কাছে জানতে চাওয়া হলে তাসকিন জানান, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে এমন আলোচনায় তারা কেউই বিরক্ত নন, ‘ফেসবুক নিয়ে ও (নাঈমা) একদমই বিরক্ত না। ফেসবুক অনেক মানুষই ব্যবহার করে। এরমধ্যে অনেকে ভালো ফ্যামিলির আছে, অনেকে আছে ভালো ফ্যামিলির না বা শিক্ষিত না। তারা অনেক বাজেভাবে অনেক কিছু লিখতে পারে। এটা নিয়ে আসলে আমরা কৌতুহলী না যে কে কী লিখলো। ’

একই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমি একদম ছোট তখন থেকেই আমি বাবা-মার বাধ্যগত সন্তান। এটা নিয়ে আমার বাবা-মার কোনো সন্দেহ আছে বলে আমার মনে হয় না। তো ওনারা চেয়েছে তাই বিয়েটা দ্রুত করা। আজ না হোক, কাল তো আমাকে করতেই হতো। এই জন্যই যেদিন এসেছি সেদিনই বিয়েটা হয়েছে। আর আরেকটা ব্যাপার, আমি সিরিজে খারাপ খেলেছি তাই বলে বিয়ে করবো না? এটা কোনো কথা নাকি? ক্রিকেট আমার জীবনের একটা অংশ। কিন্তু সবকিছু না। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ৪ নভেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।