মোট ৮৪ পয়েন্টের মধ্যে এরই মধ্যে ৫৬ পয়েন্ট ভাগাভাগি করে নিয়েছে ৭ দল মিলে। অবশিষ্ট ১৪ ম্যাচের ২৮ পয়েন্ট নিয়ে এখন চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
এর মধ্যে চট্টগ্রামের চলমান পর্বে ম্যাচ বাঁকি আরো ৬টি। তার মানে আরো ১২ পয়েন্ট ভাগ হবে ঢাকায় দ্বিতীয় পর্ব শুরুর আগে। কিন্তু বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা খুলনা টাইটানসের পয়েন্ট এখন ১১, তলানীতে থাকা চট্টগ্রাম ভাইকিংসের মাত্র ৫। অর্থাৎ চট্টগ্রাম পর্ব শেষেও শেষ চার নিশ্চিত না হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
কাজেই ঢাকায় দ্বিতীয় পর্বে অনুষ্ঠেয় ৮ ম্যাচের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে বিপিএলএ অংশ নেওয়া সব দল ও দর্শককে। শেষ ১৬ পয়েন্টই নির্ধারণ করে দেবে শেষ চার এর ভাগ্য।
খুলনা ও কুমিল্লা ছাড়া আর কোনো দলের পয়েন্ট এখনো ১০ এ উঠেনি। এ পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস দ্বিতীয় স্থানে, ৮ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকা ডাইনামাইটস তৃতীয় স্থানে আছে।
দুর্দান্ত শুরুর পর খেই হারিয়ে ফেলা সিলেট সিক্সারস ৯ খেলায় ৭ পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেছে ৫এ। আর ৮ খেলায় ৮ পয়েন্ট নিয়ে সেরা ৪এ উঠে এসেছে মাশরাফি বিন মর্তুজার রংপুর রাইডার্স। ৮ খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে রাজশাহী কিংস এর অবস্থান ৬ নম্বরে।
এবার দেখা যাক, চট্টগ্রাম পর্বে অবশিষ্ট ৬ ম্যাচের কয় পয়েন্ট কোন দলের ঝুলি ভারী করার সম্বাবনা আছে।
রোববার বিরতির পর সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে হোম ভেন্যুতে ঢাকা ডায়নামাইটসের মুখোমুখি হবে চট্টগ্রাম ভাইকিংস। ওই ম্যাচে ভাইকিংস জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে ৭। সেক্ষেত্রে রান গড় বেশী হলে তারা উঠে যেতে পারে সিলেটেরও উপরে। তারপর ২৯ নভেম্বর রাতে রাজশাহী কিংসের মুখোমুখি হবে ভাইকিংসরা। ওই ম্যাচেও যদি চট্টগ্রাম জিতে যায় সেক্ষেত্রে তাদের পয়েন্ট হয়ে যাবে ১০ ম্যাচে ৯। আর ২৭ নভেম্বর চট্টগ্রামের সঙ্গে জিতে ২৯ নভেম্বর রাতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের সঙ্গেও জিতে গেলে ডায়নামাইটসের পয়েন্ট হয়ে যাবে ১০ ম্যাচে ১৩।
২৯ নভেম্বরের ভাইকিংসের বিরুদ্ধে ও ২৭ নভেম্বর রাতে খুলনা’র সঙ্গে জিতে গেলে রাজশাহীর পয়েন্ট হয়ে যাবে ১০ ম্যাচে ১০। ২৭ নভেম্বর রাজশাহী ও ২৮ নভেম্বর কুমিল্লার সঙ্গে জিততে টাইটানসের পয়েন্ট হবে ১০ ম্যাচে ১৫। ২৮ নভেম্বর খুলনা ও ২৯ নভেম্বর ঢাকার সঙ্গে জিতে গেলে কুমিল্লার পয়েন্ট হবে ৯ ম্যাচে ১৪।
২৮ নভেম্বর দুপুরের ম্যাচে রংপুর জিতে গেলে ৯ ম্যাচে পয়েন্ট হবে ১০। আর সিলেট জিতে গেলে তাদের পয়েন্ট হবে ১০ ম্যাচে ৯।
কাজেই চট্টগ্রাম পর্বের শেষ দিন ২৯ নভেম্বর ৩৪ খেলা শেষে মোট ৬৮ পয়েন্টের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশী খুলনা টাইটানসের। ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে কুমিল্লা আর ১০ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ঢাকারও সম্ভাবনা আছে চট্টগ্রাম পর্ব শেষে শীর্ষে উঠে যাওয়ার। তবে এ পর্বে এই তিন টিম এর পাশাপাশি বর্তমানে ৪ এ থাকা রংপুর আর ৬এ থাকা রাজশাহীর পয়েন্টও ১০ এ পৌছে যেতে পারে। তাতে আরো জটিল অংকে পৌছে যাবে পয়েন্ট টেবিলের সমীকরণ।
আর খুলনা, কুমিল্লা বা ঢাকা যার যার চট্টগ্রাম পর্বের অবশিষ্ট দুটি করে ম্যাচের দুটিতেই বা একটিতে হেরে গেলে ৩৪ ম্যাচ শেষেও কোনো দলেরই শেষ চার নিশ্চিত না হওয়ার আশঙ্কা প্রবল।
সেক্ষেত্রে ঢাকায় দ্বিতীয় পর্বের ৮ ম্যাচের ১৬ পয়েন্ট নিয়ে শুরু হবে মরণপণ লড়াই। আর তাতে ম্যাচ সংখ্যা বিচারে এগিয়ে থাকবে কুমিল্লা ও রংপুর। উভয়েরই ঢাকা পর্বে ম্যাচ বাকি থাকবে তিনটি করে। অবশিষ্ট দলগুলোর ম্যাচ বাকি থাকবে ২টি করে।
তাই লীগ পর্বে খুলনা, কুমিল্লা বা ঢাকার পাশাপাশি পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে ওঠার সুযোগ আছে রংপুর রাইডার্সেরও। আবার অবশিষ্ট খেলাগুলোতে জিতে সেরা চারে উঠে আসার সুযোগ আছে তলানিতে থাকা সিলেট, রংপুর, এমনকি চট্টগ্রাম ভাইকিংসেরও।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৭
জেডএম/