এ রিপোর্ট লেখা অবধি জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৪৬ ওভার শেষে সাত উইকেটে ১৬৩। পিটার মুর ৩১ ও কাইল জার্ভিস ৩ রানে ব্যাট করছেন।
প্রথম ওভারেই সোলোমন মায়ার (০) ও ক্রেইগ আরভিনকে (০) সাজঘরে পাঠান সাকিব আল হাসান। ইনিংসের প্রথম বলে মায়ারকে স্ট্যাম্পিং করে ব্রেকথ্রু এনে দেন মুশফিক। সাব্বির রহমানের তালুবন্দি হন আরভিন।
অভিজ্ঞ ওপেনার হ্যামিল্টন মাসাকাদজাকে (১৫) মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে উইকেটের খাতায় নাম লেখান মাশরাফি বিন মর্তুজা। ৩০ রানে তিন উইকেট হারিয়ে চাপের মুখেই পড়ে সফরকারীরা। দলীয় ৫১ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে মুশফিকের রহিমের গ্লাভসবন্দি হন ব্র্যান্ডন টেইলর (২৪)। আর স্পিনার সানজামুল ইসলামের বলে সাব্বির রহমানকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ম্যালকম ওয়ালার (১৩)।
রান আউটের মাধ্যমে বিদায় নেন সফরকারীদের হাল ধরা সিকান্দার রাজার। ৯৯ বলে দুই চার ও দুই ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান করে বিদায় নেন তিনি।
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৯৯তম ওয়ানডে এটি। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মাশরাফি।
হোম কন্ডিশন, প্রতিপক্ষের শক্তি, নিজেদের পারফরম্যান্স, অভিজ্ঞতা সবকিছু মিলিয়ে অধরা ট্রফি জয়ের এটাই সেরা সুযোগ। কখনোই ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজের শিরোপা না জেতার আক্ষেপ ঘোঁচাতে চোখ রাখছে মাশরাফির দল। আগামী ১৯ জানুয়ারি হাইভোল্টেজ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে শেষ ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ২০০৯ সালের শিরোপা নির্ধারণীতে লঙ্কানদের কাছে ২ উইকেটে হারের হতাশায় ডুবেছিল লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। এবার প্রথমবারের মতো শিরোপা দেশে রেখে দিতে আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, এনামুল হক বিজয়, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মাশরাফি বিন মর্তুজা (অধিনায়ক), সাঞ্জামুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন।
জিম্বাবুয়ে একাদশ: হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, সোলোমন মায়ার, ক্রেইগ আরভিন, ব্র্যান্ডন টেইলর (উইকেটরক্ষক), সিকান্দার রাজা, ম্যালকম ওয়ালার, পিটার মুর, তেন্দাই চাতারা, গ্রায়েম ক্রেমার, কাইল জার্ভিস, ব্লেসিং মুজার্বানি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি, ২০১৮
এমএমএস