শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) হাইভোল্টেজ ম্যাচে হাতুরুসিংহের শ্রীলঙ্কাকে আতিথ্য দেবে টিম বাংলাদেশ। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলা শুরু বেলা ১২টায়।
আত্মবিশ্বাস ধরে রেখে জয় ভিন্ন কিছুই ভাবছে না মাশরাফির দল। তিনদিন আগে উদ্বোধনী ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ১৭০ রানে গুটিয়ে দিয়ে ৮ উইকেটের দাপুটে জয় দিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম শিরোপা মিশন শুরু করে টাইগাররা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দু’দলকেই বেশ গুরুত্ব দিয়ে পিচ পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে। টস বিজয়ী অধিনায়ক কি সিদ্ধান্ত নেবেন সেটিই এখন দেখার বিষয়! অনুশীলনে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার কাজটা তো শেষ। এবার মাঠের লড়াই দেখার পালা।
হাতুরুসিংহের লঙ্কা কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হয়েছে হার দিয়ে। যেখানে জোড়া আঘাত হানতে মুখিয়ে আছে স্বাগতিক শিবির। জিম্বাবুয়ের মতোই ইতিবাচক ক্রিকেট খেলতে চান মাশরাফি, ‘জিম্বাবুয়ে কাল যে ব্র্যান্ডটা খেলেছে। আমাদের তো ওইভাবে খেলতে হবে। এমন না যে জিম্বাবুয়ে ভালো না খেলে জিতেছে। ওরা যে ক্রিকেটটা খেলেছে নির্দিষ্ট দিনে এমন ক্রিকেট না খেলে জেতা সম্ভব না। আমাদের সাথে শ্রীলঙ্কাও এমন খেলতে পারে। তাই আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে। যাতে এমন পরিস্থিতি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। ’
বাংলাদেশ টিমকে নিয়ে সবই জানা হাতুরুসিংহের। এটা বড় কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করেন মাশরাফি, ‘সত্যি কথা বলতে এসব ম্যাটার করে না। ব্যাক অব মাইন্ডে এটাতো থাকে ম্যাচটা খেলতে হবে জিততে হবে। এর বাইরে কোন সুযোগই নাই চিন্তা করার। চিন্তা করলে হয়কি আল্টিমেটলি আরও বেশি চাপ আসে। আমার কাছে মনে হয় খেলার দিকেই সবার মনোযোগ থাকে। সেটাই আছে আমরা যেন আরও ভালো খেলি। ’
এদিকে লঙ্কানদের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের ইনজুরি। হ্যামস্ট্রিং সমস্যায় বাংলাদেশের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তার খেলা নিয়ে রয়েছে জোরালো সংশয়। তার শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে টিম ম্যানেজমেন্ট।
জিম্বাবুয়ে ম্যাচের হতাশা ভুলে জয়ে ফিরতে মরিয়া শ্রীলঙ্কা। দলের ব্যাটিং পরামর্শক থিলান সামারাভিরার কথায়, ‘ভালো ব্যাপার হলো, টুর্নামেন্টে আমাদের আরও বেশ কয়েকটি ম্যাচ আছে। প্রথম ম্যাচে আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারিনি। তবে যদি আমরা আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারি তাহলে কালকের ম্যাচে ভালো কিছুই হবে। ট্রাইনেশনের মতো টুর্নামেন্টে এটা হতেই পারে। আমরা এক দু’টি ম্যাচ হারতে পারি। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ হলো এখান থেকে ইতিবাচক কিছু নিয়ে তা সামনের ম্যাচগুলোতে কাজে লাগানো। ’
মাস কয়েক আগেও বাংলাদেশের ডাগআউট থেকে ম্যাচের কৌশলের নেতৃত্ব দিতেন হাতুরু। এখন তিনি প্রতিপক্ষের ডেরায়। গত নভেম্বরে পদত্যাগ করেন। ডিসেম্বরে হেড কোচ হিসেবে ঘোষণা করে লঙ্কান বোর্ড। সাড়ে তিন বছরে (২০১৪ সালের মে মাসে যোগ দিয়েছিলেন) বাংলাদেশের অন্যতম সফল কোচ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন হাতুরু। কিন্তু তার বিদায়টা সুখকর হয়নি। ছিল তিক্ততার রেশ!
সব মিলিয়ে হাতুরুর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ম্যাচ ঘিরে একটা রোমাঞ্চ কাজ করছে দর্শকদের মনে। সবশেষ দু’দলের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজে লঙ্কানদের মাটি থেকে ১-১ (একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত) সমতা নিয়ে ফেরে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৮
এমআরএম