আগের দিন বিনা উইকেটে শতরানের সংগ্রহ পাওয়া পূর্বাঞ্চল তৃতীয় দিনে হারিয়েছে ২০ উইকেট। উত্তরাঞ্চলের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে তৃতীয় দিন দুইবার অলআউট হয় মুমিনুল হক ও তার দল।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিনা উইকেটে ১১০ রান নিয়ে খেলা শুরু করে পূর্বাঞ্চল। ৪৯ রান নিয়ে দিন শুরু করা তাসামুলকে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে বোল্ড করে ১২২ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শফিউল ইসলাম।
আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান লিটন ও অধিনায়ক মুমিনুল ইসলাম দলকে নিয়ে যান ১ উইকেটে ১৫৪ রানের মজবুত অবস্থানে। সেখান থেকে মাত্র ৬৩ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়ে ফলোঅনে পড়ে পূর্বাঞ্চল।
দ্বিতীয় দিন শূন্য হাতে থাকা ইয়াসিন দারুণ এক স্পেলে লিটন ও মুমিনুলের সঙ্গে আফিফ হোসেন ও অলক কাপালিকে ড্রেসিংরুমের পথ দেখিয়ে ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন।
আগের দিন ফিফটি পাওয়া লিটন ৬৯ রান করে ধরা পড়েন ফরহাদ হোসেনের হাতে। এলবিডব্লিউ হয়ে যান ২১ রান করা মুমিনুল। দুই অঙ্কে যেতে পারেননি আফিফ ও কাপালি।
ইয়াসিনের আঘাতের পর পূর্বাঞ্চলকে দ্রুত গুটিয়ে দেন শরিফুল। তিন বলের মধ্যে তুলে নেন মোহাম্মদ আশরাফুল ও জাকের আলীর উইকেট। পরে বিদায় করেন সোহাগ গাজী ও আবু জায়েদকে।
৪১৫ রানের জবাবে ২১৭ রানে থামে পূর্বাঞ্চল।
৩৩ রানে ৪ উইকেট নেন শরিফুল। এটাই তার প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ইনিংসে সেরা বোলিং। ইয়াসিন ৪ উইকেট নেন ৩৯ রানে।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই পরপর দুই বলে লিটন ও মুমিনুলকে ফিরিয়ে শুরুতেই তাদের চাপে ফেলেন শফিউল। পরের আঘাতটি হানেন ইয়াসিন ও শরিফুল। ৯১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে পূর্বাঞ্চল।
পাল্টা আক্রমণে দ্রুত রান তোলেন সোহাগ গাজী। ৩৭ বলে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। তাইজুলকে ছক্কা মেরে ফিফটি করার পরের বলে বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হয়ে যান।
সোহাগের বিদায়ে ভাঙে ৬৯ রানের জুটি। এরপর বেশিদূর এগোয়নি পূর্বাঞ্চলের ইনিংস। ১৯৮ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা দলটি গুটিয়ে যায় ১৭০ রানে।
দ্বিতীয় ইনিংসে তিনটি করে উইকেট নেন তিন পেসার ইয়াসিন, শরিফুল ও শফিউল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৮
এইচএল/জেডএস