এটা ঠিক যে পুরো দল চলে যাওয়ার পরে আমিরের ভিসা হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল তা জানায়নি পিসিবি।
এর আগে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড ও স্কটল্যান্ড সফরকে কেন্দ্র করে পুরো দল ইতোমধ্যে রওনা দিলেও, ভিসা জটিলতায় দেশেই রয়ে গিয়েছিলেন আমির।
এবারের পাকিস্তান দলে পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ আমির। তবে কেন ভিসা পাননি, এ নিয়ে জানা যায়, স্ত্রীর মাধ্যমে ব্রিটিশ পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আমির নাকি আগেই দীর্ঘমেয়াদি ভিসার আবেদন করেছেন। আর এতেই নাকি এখন খেলার জন্য ভিসা পেতে সমস্যা হচ্ছে।
পিসিবির এক মুখপাত্র অবশ্য বলছিলেন এমন কিছু ঘটেনি, ‘আমির দলের সঙ্গে আসেনি, কারণ আমরা ওর ভিসার অপেক্ষায় আছি। ওর ভিসা এখনো পাওয়া যায়নি কিন্তু আমরা আশাবাদী সে বুধবারের মধ্যে ভিসা পেয়ে আবে এবং সেদিনই সে যাত্রা শুরু করতে পারবে। ’
আমিরের যুক্তরাজ্যে ভিসা জটিলতা অবশ্য নতুন কিছু নয়। ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কারণে ইংল্যান্ডের জেলও যেতে হয়েছিল তাকে। যে কারণে, ২০১৬ সালেও ইংল্যান্ড সফরের সময় এ ধরনের ভিসা জটিলতার মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। যদিও পরে ভিসা পেয়ে যান।
২০১৬ সালে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এক ব্রিটিশ নারীকে বিয়ে করেছেন আমির। এরপর থেকে অবশ্য যুক্তরাজ্যে নিয়মিতই আসা-যাওয়া আমিরের।
আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও স্কটল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের এক সফরের জন্য দেশ ছেড়েছে পাকিস্তান। পুরো সফরে রয়েছে তিন টেস্ট ও দুই টি-টোয়েন্টি।
আগামী ১১ মে আয়ারল্যান্ডের টেস্টে অভিষেক। এমন ঐতিহাসিক ম্যাচে পাকিস্তানকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে পেল আইরিশরা। এরপর ইংল্যান্ডে দুটো টেস্ট খেলবে সরফরাজ আহমেদে ও তার দল। আর জুনের মাঝপথে স্কটল্যান্ডে গিয়ে দুটো টি-টোয়েন্টি দিয়ে শেষ হবে এ সফর। ৫০ দিনের লম্বা এ যাত্রা শুরু হবে ২৮ এপ্রিল কেন্টের বিপক্ষে এক প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘণ্টা, ২৪ এপ্রিল, ২০১৮
এমএমএস