উত্তরাঞ্চলের প্রথম ইনিংসের ১৮৭ রানের জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৬৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল দক্ষিণাঞ্চল। তবে উত্তরাঞ্চল দ্বিতীয় ইনিংসে ১১৫ রানে গুটিয়ে গেলে চ্যাম্পিয়নের উৎসব করে দক্ষিণাঞ্চল।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রানে কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করে উত্তরাঞ্চল। কিন্তু পিছিয়ে ছিল ১৪৬ রানে।
তৃতীয় দিনের শুরুতেই অভিজ্ঞ স্পিনার রাজ্জাক ও সাকলাইন সজীবের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে যায় উত্তরাঞ্চলের ব্যাটসম্যানরা। দলের কেউই হাফসেঞ্চুরির কোট পার করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে আটে নামা সোহরাওয়ার্দী শুভর ব্যাট থেকে। ২১.২ ওভারে ৫ মেডেন সহ মাত্র ৪৮ রানের বিনিময়ে ৬টি উইকেট তুলে নেন রাজ্জাক। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়ায় দুই ইনিংস মিলিয়ে ১১ উইকেটের মালিক হলেন এই বাঁহাতি তারকা। আগের ইনিংসেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৩৩বার ৫ উইকেট নিয়ে এনামুল হক জুনিয়রকে পেছনে ফেরে রেকর্ড গড়েছিলেন রাজ্জাক। এবার রেকর্ডটি ৩৪-এ দাঁড়ালো।
সজীব নিয়েছে ৩টি উইকেট। বাকি একটি উইকেট নেন অনিয়মিত বোলার ইমরুল কায়েস। মাশরাফি বিন মর্তুজা ৪ ওভার বল করলেও কোনো উইকেট পাননি।
৬ ম্যাচে এক জয় ও ৫ ড্রয়ে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হলো দক্ষিণাঞ্চল। আর হেরে রানারআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে উত্তরাঞ্চলকে। ৬ ম্যাচে ২ জয় এক হার ও ৩ ড্রয়ে তাদের পয়েন্ট ৬২।
আসরটির ছয় মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের এটি আবার রেকর্ড তৃতীয় শিরোপা। এর আগে ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ সালেও তারা চ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়েছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২০ ঘণ্টা, ২৬ এপ্রিল, ২০১৮
এমএমএস