ভারতীয় রুপির হিসাবে ১৫০ কোটি রুপি করে গড়ে মুনাফা করবে ফ্রযাঞ্চাইজিগুলো, যা আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
আইপিএলের ১১তম আসর মাঠে গড়িয়েছে চলতি বছরের এপ্রিলে।
ফ্রযাঞ্চাইজিগুলোর বিজ্ঞাপনী আয় এবার আগের সব সময়ের চেয়ে বেশি। এই অভাবনীয় আয়ের পিছনে বড় ভূমিকা রয়েছে টাইটেল স্পন্সর ‘ভিভো’র। ভিভো টাইটেল স্পন্সরশিপের জন্য ২,১৯৯ কোটি রুপির চুক্তি করেছে, যা আগের দুইবারের চেয়েও ৫৫৪ শতাংশ বেশি।
আইপিএলের মিডিয়া পার্টনার ‘স্টার স্পোর্টস’। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মেয়াদে ১৬,৩৪৭.৫ কোটি রুপি ব্যয় করবে এই খেলাধুলা বিষয়ক মিডিয়া মোঘল। বার্ষিক ৩,৯০৯.৫ কোটি রুপি করে এই অর্থ দেবে স্টার স্পোর্টস। এই দুই বিশাল অংকের চুক্তি থেকেই প্রত্যেক ফ্র্যাঞ্চাইজি গড়ে ১৯৪ কোটি আয় করবে এবং সব খরচ বাদে প্রতি বছর ১৫০ কোটি রুপি করে লাভ করবে।
নিয়ম অনুসারে আইপিএলের প্রতি মৌসুমে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) যে আয় করে তার ৪০ শতাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয়। আবার অন্যদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মোট মালিকানার ২০ শতাংশ বিসিসিআইয়ের দখলে। ফলে গড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো বোর্ডের লাভের ৪০ শতাংশ পায়। এদিকে কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে বিজ্ঞাপন, গেট রিসিপ্ট ও অন্যান্য খাত থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ৫৫-৬৫ কোটি রুপি আয় করবে। এই হিসাব ধরলে আয়ের অংক দাঁড়াবে ২৫২ কোটি রুপি।
এর বাইরে বিসিসিআইকে বিশাল অংকের ফি শোধ করতে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে। খেলোয়াড়দের বেতন, ম্যাচ ফি মিলিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে গড়ে ২৭ কোটি রুপি শোধ করতে হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি পরিচালনায় খরচ হবে গড়ে ২০ কোটি রুপি। আর অন্যান্য খাতে আরও ২ কোটি রুপি। তাছাড়া বিসিসিআই ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর আয়ের ২০ শতাংশ তো নেবেই। সব মিলিয়ে তাই লাভের গড় অংকটা ১৫৮ কোটির ঘরেই থাকবে। তবে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির আয় সমান হবে না। তবুও আগের দশবারের চেয়ে এই অংক অনেক বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৩ ঘণ্টা, মে ০৩, ২০১৮
এমএইচ/এমজেএফ