জুবায়ের হোসেন লিখনের আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে ২০১৪ সালে। মিরাজের হলো তার দুই বছর পরে।
না, এখানে সিরিয়াস হওয়ার কিছুই নেই। বরং সোমবার মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে যা হয়েছে তা থেকে নৈতিক শিক্ষা নিতে পারেন অনেকেই।
আর বিসিবি কমর্কর্তারা স্বস্তির নিশ্বাস ছাড়তে পারেন এই ভেবে যে তাদের ক্রিকেটরদের ভেতরে শৃঙ্খলা বোধ পারস্পারিক সম্মান বেশ ভালভাবেই কাজ করে। ঘটনাটি হলো, দুপুরে একাডেমির সেন্টার উইকেটে নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন মুমিনুল। তাকে বল করছিলেন জাতীয় দলে নিয়মিত হওয়ার চেষ্টায় থাকা লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখন।
ঘণ্টা অতিক্রম না হতেই হাজির হলেন তাসকিন। তার মিনিট দশেক পরে এলেন মিরাজ। ফিজিও বায়েজিদের কাছে ঘাড়ের ব্যথার থেরাপি নিতে এসেছিলেন মিরাজ।
থেরাপি শেষ করে উইকেটের বোলিং মার্কের পাশে ব্যাগটি রেখে মিরাজ দাঁড়িয়ে গেলেন স্ট্যাম্প বরাবর। তার দু’পাশ থেকে মুমিনুলকে বল করতে লেগে গেলেন তাসকিন ও লিখন। গতি তারকা তাসকিন আহমেদ শর্ট রানআপে বল করছেন আর লিখন ফুল রিদমে। তাসকিন পেস বোলার তাই তাকে মিরাজের টিপস দেয়ার মতো কিছু ছিল না হয়তো।
কিন্তু লিখনকে ঠিকই দিলেন। যদিও লিখন লেগি। তাতে কী? তিনি তো স্পিনার। একজন স্পিনারের লেংথ, ফ্লাইট, টার্ন, মানে টেকনিক্যাল বিষয়গুলো তিনি ভালো করেই জানেন। তাই লিখন যখনই ভুল করছিলেন সাথে সাথে তা ধরিয়ে দিচ্ছিলেন মিরাজ।
লিখনও তা যথেষ্ট মনোযোগের সাথে আমলে নিয়ে নিজেকে শোধরাতে চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন। অথচ লিখন সিনিয়র। তিনি চাইলেই মিরাজকে পাত্তা নাও দিতে পারতেন। অবজ্ঞা, অবহেলা করতে পারতেন। না, তিনি তা করেননি। বরং জুনিয়রের কাছেও শিখেছেন এবং পাশাপাশি এই শিক্ষাটিও দিলেন, শেখার কোনো বয়স আসলে নেই। শেখার ক্ষেত্রে জুনিয়র বা সিনিয়র বলতে কিছুই নেই, মূলত এরই জানান দিলেন লিখন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, ০৭ মে, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস