হায়দ্রাবাদের বেঁধে দেওয়া ১৪৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা ব্যাঙ্গালুরু নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে সংগ্রহ করেছে ১৪১ রান। এতে টুর্নামেন্টের পরবর্তী রাউন্ডে খেলার স্বপ্ন আরও ফিকে হয়ে গেলো বিরাট কোহলির দলের।
প্রথমে অবশ্য ব্যাঙ্গালুরুর টপঅর্ডারের ক্ষ্যাপাটে ব্যাটিং লক্ষ্যটিকে ‘সহজ’ মনে করালেও হায়দ্রাবাদের বোলিং আক্রমণ দুর্দান্তভাবেই তার লাগাম টেনে ধরে। দলীয় ২৪ ও ব্যক্তিগত ২০ রানে সাকিবের এবং দলের প্রথম শিকার হন পার্থিব প্যাটেল। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কোহলির সঙ্গে ৩৬ রানের জুটি বাঁধার পর সন্দীপ শর্মার বলে ব্যক্তিগত ৮ রানে বোল্ড আউট হয়ে যান মানান ভোরা।
কোহলি তখনও বেশ স্বাচ্ছন্দ্যেই ব্যাট চালাচ্ছিলেন। সেসময়টায় পর্যন্ত ব্যাঙ্গালুরুকেই এগিয়ে রাখা হচ্ছিলো। কিন্তু সাকিব ঘূর্ণিতে কোহলির ইনিংসটির ইতি ঘটে ৩৯ রানে। সাকিবের কৌশলী ডেলিভারিতে শর্ট থার্ডম্যানে ইউসুফ পাঠানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ব্যাঙ্গালুরু কাপ্তান।
প্রথম দিকে অল্প সংগ্রহ মনে হলেও এতোক্ষণে যেন ম্যাচে ফিরে যায় হায়দ্রাবাদ। এরপর ১১তম ওভারে রশিদ খান এসে ‘মিস্টার ৩৬০’ এবিডি ভিলিয়ার্সকে ৫ রানে গুগলির ফাঁদে ফেললে মাথায় হাত পড়ে ব্যাঙ্গালুরু সমর্থকদের।
ঠিক তার পরের ওভারেই মইন আলীকে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে সিদ্ধার্থ কউল ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন। ছয়ে নামা মানদীপ সিং ও সাতে নামা কলিন ডে গ্র্যান্ডহোমের ব্যাট ব্যাঙ্গালুরুকে ‘শেষ লড়াই’র আশা দেখালেও শেষ পর্যন্ত ৫ রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় কোহলিদের। গ্র্যান্ডহোম ২৯ বলে ৩৩ ও মানদীপ ২৩ বলে করেন ২১ রান। ২০তম ওভারে ভুবনেশ্বর কুমারের শেষ বলে বোল্ড হন কিউই এ ব্যাটসম্যান।
হাতে উইকেট থাকলেও শেষ দিকে হায়দ্রাবাদের বোলারদের কৃপণ বোলিংয়ে আটকে যায় কোহলি-ভিলিয়াসদের রান সংগ্রহের চাকা।
সোমবার (৭ মে) হায়দ্রাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে কেন উইলিয়ামসনের ৩৯ বলে ৫৬ ও সাকিব আল হাসানের ৩২ বলে ৩৫ রানের সুবাদে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রানের স্বল্প পুঁজি গড়ে স্বাগতিকরা।
ব্যাঙ্গালুরুর হয়ে বল হাতে টিম সাউথি, মোহাম্মদ সিরাজ ৩টি করে এবং যুজবেন্দ্র চাহাল ও উমেশ যাদব ১টি করে উইকেট নেন।
এ জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলে উইলিয়ামসন-সাকিবদের অবস্থান শীর্ষেই থেকে গেলো। আর হেরে গিয়ে টেবিলের ছয়ে নেমে গেলো কোহলি-ভিলিয়ার্সদের দল।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৬ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০১৮
এইচএল/এইচএ/