তবে স্বপ্ন শেষ হয়নি এখনো। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে শনিবার (২৮ জুলাই) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মাঠে নামবে মাশরাফি বাহিনী।
প্রথম ম্যাচে ৪৮ রানের জয়ের পর বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান জানান, গায়ানার মাঠ স্বাগতিকদের চেয়ে বাংলাদেশকেই বেশি সাপোর্ট দেয়। তিনি আশা করে বলেন, পুরো ওয়েস্ট ইন্ডিজে একমাত্র গায়ানার উইকেটই স্পিন সহায়ক হয়। খুব একটা স্পিন সহায়ক না হলেও অনেকটাই বাংলাদেশের মতো। দেখা যায় এখানকার ঘাস, মাটিও দেখতে বাংলাদেশের মতো। আমাদের জন্য এটা একটা ইতিবাচক দিক। সেইন্ট কিটসেও মনে হয় না খুব বেশি পার্থক্য হবে। ওটা অনেকটাই ব্যাটিং উইকেট। ওখানে রান সব সময়ই বেশি হয়। মাঠটা একটু ছোট। হয়তো ওখানে ওদের (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) সুবিধা বেশি থাকবে।
কিন্তু জেতা হয়নি দ্বিতীয় ম্যাচ। ছোট মাঠ এবং ব্যাটিং উইকেটে স্বাভাবিকভাবেই এগিয়ে থাকবে স্বাগতিকরা। তবে এই মাঠে ভালো অতীত আছে বাংলাদেশেরও। এর আগে এই মাঠে দু’টি ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা।
প্রথমবার ২০০৯ সালে সাকিবের নেতৃত্বে টাইগাররা ৩ উইকেটে হারিয়েছিল ক্যারিবীয়দের। স্বাগতিকদের ২৪৮ রানে অলআউট করে সাত বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। সাত নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ৭০ বলে হার না মানা ৫১ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস উপহার দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে সেই ম্যাচের অভিজ্ঞতা কতোটা কাজে লাগবে তা বলা মুশকিল। কারণ সেই দলের তামিম ইকবাল, মুশফিক রহিম,সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ ছাড়া আর কেউই এখন দলে নেই।
দ্বিতীয় ম্যাচটি ২০১৪ সালে। সেবার আর জয় পায়নি টাইগাররা। ৯১ রানের বড় পরাজয় বরণ করে মুশফিক বাহিনী। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৩৮ রানের পাহাড় সমান স্কোর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ২৪৭ রানেই আটকে যায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক মুশফিক (১১৩ বলে ৭২) আর তামিম (৬২ বলে ৫৫) সাধ্যমতো চেষ্টা করেও দলকে টেনে তুলতে পারেননি।
তবু সম্ভাবনা আছে সিরিজ জয়ের। সঙ্গে আছে পুরনো অভিজ্ঞতাও। কিভাবে ব্যাটিংটা চালিয়ে যেতে হবে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে তরুণরা জেনে নিতে পারলে জয় অসম্ভব নয় মাশরাফি বাহিনীর কাছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
এমকেএম/জেডএস