ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

কপালের দোষ দিলেন ইমরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৩ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৮
কপালের দোষ দিলেন ইমরুল ইমরুল কায়েস-ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের কোনোটিতেই একাদশে ডাক পাননি টাইগার অভিজ্ঞ টপঅর্ডার ইমরুল কায়েস। আর সেজন্য অন্য কাউকে নয় বরং নিজের ভাগ্যকেই দুষছেন।

টেস্ট সিরিজে একাদশে সুযোগ মেলেনি। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে তো ইমরুল স্কোয়াডেই ছিলেন না।

ফলে টেস্ট সিরিজ শেষ করেই তাকে দেশের বিমানে চাপতে হয়েছে।

দেশে ফিরে অবশ্য বসে নেই ৩১ বছর বয়সী এই বাঁহাতি ব্যাটাসম্যান। নিজেই নিজেই অনুশীলনে ঘাম ঝড়াচ্ছেন। এর পেছনে ভাবনা একটিই, যদি আবার দলে ডাক পড়ে! সেটা হয়তো হবে। ব্যাট হাতে দেশকে এ যাবৎকাল যা দিয়েছেন তাতে তার এমন প্রত্যাশা নিশ্চয়ই অমূলক নয়।

ইমরুল কপালের দোষ দিলেও গত ২ বছরের ব্যাটিং পরিসংখ্যান তার পক্ষে সাফাই গাইছে না। টেস্টে তার সবশেষ ১৬ ইনিংসে একটি অর্ধশতকও নেই। ভারতের বিপক্ষে ৭২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তাও ৩ বছর হয়ে গেল। ২০১৫ সালের ১৫ জুন ফতুল্লায় সফরকারী দলটির বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ওই রান সংগ্রহ করেছিলেন।

ওয়ানডেতেও তার পারফরম্যান্স ততটা উজ্জ্বল নয় যতটা হওয়া উচি‍ৎ ছিলো। গেল বছরের অক্টোবরে  দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৭৭ বলে ৬৮ রানের ইনিংসটিই যা। এর আগের ৯ ইনিংসে তার ব্যাট থেকে এসেছে সর্বোচ্চ ৫৯ রান (২০১৬ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে)।

আর টি-টোয়েন্টিতে এই পর্যন্ত ১৩ ম্যাচ খেলে সর্বোচ্চ সংগ্রহ করেছেন ৩৬ রান।

‘হয়তো আমার কপালে ছিল না। আমি অবশ্য এভাবে চিন্তা করি না। আমি চিন্তা করি সুযোগ আসলে আবার খেলব, বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলাটা অনেক ভাগ্যের ব্যাপার। যখনই দেশের জন্য খেলি তখন সবসময় ভালো করার চেষ্টা করি। তাছাড়া ক্রিকেটারের কাজটা তো অনুশীলন করা ও চেষ্টা করে যাওয়া। আমার কাজ চেষ্টা করে যাওয়া আমি সেটাই করব। যদি সুযোগ আসে তাহলে  সেই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করব। নিজের কাজটাই সবসময় করার চেষ্টা করি। ’

মঙ্গলবার (৩১ জুলাই) মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি মাঠে তিনি একথা বলেন।

ইমরুল এসময় কথা বলেন টেস্ট সিরিজে সতীর্থদের বিব্রতকর হার নিয়েও। যেখানে সবকিছু ছাপিয়ে তাদের মানসিক পশ্চাৎপদতাই তার কাছে বড় হয়ে ধরা দিয়েছে, ‘টেস্ট ক্রিকেটটা আমাদের জন্য কঠিন, এটা বলব না। কারণ এর আগে আমরা টেস্টে অনেক সাফল্য পেয়েছি। আমরা মানসিকভাবে একটু পিছিয়ে ছিলাম। কিন্তু প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে আমরা  অনেক ভালোভাবে কামব্যাক করেছি, মানসিকভাবে। কিছু কিছু জায়গায় আমরা ভালো করতে পারিনি। আমার মনে হয় এখনই এত চিন্তিত না হয়ে সামনের সিরিজ গুলোতে ভালো করার চেষ্টা করা ভালো। ’

ক্রিকেট ভক্তরা নিশ্চয়ই জানেন তারপরেও আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি। দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের কাছে এক ইনিংস ও ২১৯ রানের ব্যবধানে হেরেছিলো সফরকারী বাংলাদেশ। এই টেস্টের প্রথম ইনিংসেই নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন ৪৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিলো লাল-সবুজের দল।

আর দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট কিছুটা লড়াইয়ে ফিরলেও শেষ রক্ষা হয়নি। ১৬৬ রানে হার দিয়ে সাদা পোশাকের সিরিজের সমাপ্তি টানতে হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, ৩১ জুলাই, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।