ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

দল পেলেই বিপিএলে খেলবেন আশরাফুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৮
দল পেলেই বিপিএলে খেলবেন আশরাফুল (ফাইল ফটো)

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএলে) ম্যাচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ স্বীকার করায় ৫ বছর আগের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আজই (১৩ আগস্ট) সবধরনের ক্রিকেটে ফিরেছেন মোহাম্মদ আশরাফুল। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি থেকে অনুষ্ঠেয় বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে খেলবেন দেশের সর্ব কনিষ্ঠ এই টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান।

তবে সে ক্ষেত্রে তাকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দিকে। কেননা ফ্র্যাঞ্চাইজিরা তাকে দলে টানলেই আবার টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ফেরা হবে টাইগারদের সাবেক অধিনায়কের।

বলা বাহুল্য দুই বছর আগে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি পেলেও বিপিএলে অনুমতি পাননি ‘অ্যাশ’। ফ্র্যাঞ্চাইজিরা এবার তাকে দলে টানলে তবেই দীর্ঘ অপেক্ষার ক্ষণ ফুরাবে আশরাফুলের।

সোমবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে বনানি কার্যালয়ে সাংবাদিকেদের একথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ও বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য মোহাম্মদ জালাল ইউনুস।

‘সে বিপিএল খেলার যোগ্য। তবে নির্ভর করছে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ওপর। যেহেতু তার সব ওপেন হয়ে যাচ্ছে সে খেলতে পারবে। ’

তবে বিপিএলে সুযোগ পেলেও আগামী এক বছরের ভেতর তার জাতীয় দলে খেলার কোনো সম্ভাবনা বোধ হয় নেই। জালাল ইউনুসের মতে, গেল দুই মৌসুমের মতো ঘরোয়া ক্রিকেটের আসছে মৌসুমেও তাকে পারফরম্যান্সের প্রমাণ দিতে হবে, তার ফিটনেস লেভেল আপ টু দ্য মার্ক হতে হবে। এরপর যদি নির্বাচকরা মনে করেন তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খেলার যোগ্য তবেই তাকে অনুমতি দেয়া হবে। তাকে টি-টোয়েন্টিতেও পারফর্ম করে দেখাতে হবে। যা গেল ৫ বছর তিনি করে দেখাতে পারেননি।

‘দ্যাখেন, আশরাফুল শুধুই একটি নাম। ১০ জন ক্রিকেটার যেভাবে জাতীয় দলে আসে তাকেও সেভাবে আসতে হবে। আপনারা জানেন ৫ বছর সে ক্রিকেটের বাইরে ছিলো। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুইটি মৌসুম সে খেলেছে। সেটা পর্যাপ্ত নয়। তাছাড়া তার ফিটনেসের ব্যাপারও আছে। আশরাফুলকে দলে আনার বিষয়টি নির্বাচকদের ভাবনায় আছে কী না আমি জানি না। আমি কালকে দেখেছি প্রধান নির্বাচক বলেছে যে এখনই সেই ধরনের কোনো ভাবনা তাদের নেই, তাকে ইনক্লুড করার জন্য। ’

‘তবে সামনে একটা ঘরোয়া মৌসুম আছে, সেখানে তাকে খেলতে হবে। সব ফরম্যাটে খেলতে হবে। এতদিন সে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলতে পারছিলো না। সেই ফরম্যাটেও সে খেলতে পারবে। সিলেক্টররা চাচ্ছে তিন ফরম্যাটে তাকে আরেকবার দেখতে। তার ফিজিক্যাল ফিটনেসটা কেমন, এটা গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্যই আমার মনে হয় তাকে অপেক্ষা করতে হবে। ’-যোগ করেন জালাল ইউনুস।

অবশ্য নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে ঘরোয়া ক্রিকেটের দুটি মৌসুম মন্দ কাটেনি আশরাফুলের। গেল ৫ বছরে অনেক কিছুই বদলেছে। তেমনি বদলেছেন ক্রিকেটের অন্ধকার গলিতে ঢুকে পড়া প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যান। এখনকার আশরাফুল অনেক গোছালো ও পরিণত। এই  আশরাফুলের মনে শুধুই পারফরম্যান্সের ক্ষুধা। যার কিঞ্চিৎ তিনি দেখিয়েছেন গেল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রেকর্ড ৫ সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে। শেষ তিনটি ছিল টানা।

কতশত চাপ নিয়ে এই ব্যাটে রানের এমন ঝর্ণাধরা তিনি ছুটিয়েছেন! নির্বাসন থেকে ফিরে ভাবমূর্তি রক্ষার চাপ, ফর্মহীনতার চাপ, ছিল বয়েসের চাপও। সব চাপ জয় করে আবার ব্যাটে দাপট দেখিয়েছেন আশরাফুল।

অবশ্য জালাল ইউনুসের কথায় মনে হলো তাতে তার খুব একটা লাভ হয়নি। কেননা নির্বাচকেরা নাকি তা দেখেননি!

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, ১৩ ‍আগস্ট, ২০১৮
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।