ভারতের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজে এখন পর্যন্ত তিন ইনিংসে ব্যাটিং করতে নেমেছেন খাজা। এই সময়ে ব্যাট হাতে রানের দেখা পাওয়াই যেন তার কাছে দুস্কর এক কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অ্যাডিলেডে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১২৫ বল খেলে ২৮ রান করেছিলেন উসমান খাজা। পরের ইনিংসে ৪২ বল খেলে ৮ রান। আর পার্থ টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৮ বল খেলে করেছেন ৫ রান। এজন্য ভারতীয় বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণেই শট খেলার সুযোগ বের করতে ব্যর্থ হয়েছেন খাজা। এমনকি স্ট্রাইক রোটেট করতেও হিমশিম খেতে হয়েছে তাকে।
ভারতীয় বোলারদের সামনে এতোটাই অসহায় হয়ে পড়েছেন খাজা যে, তিন ইনিংসে ব্যাট হাতে মোট ২০৫ বল মোকাবেলা করে মাত্র ১টি বাউন্ডারি মারতে সক্ষম হয়েছেন। চলতি টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে জাসপ্রিত বুমরাহ’র বলে লেগ সাইডে পাওয়া ওই বাউন্ডারিই তার প্রাপ্তি।
চাপে পড়ে শট খেলতে গিয়ে প্রথম টেস্টের দুই ইনিংসেই ভারতীয় স্পিনার রবিচন্দন অশ্বিনের বলে আউট হয়েছেন খাজা। তবে মূল চাপটা তৈরি করেছেন পেসাররা। বিশেষ অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট থেকে ছুটে আসা বল খেলতে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ভারতীয় পেসার উমেশ যাদবের বলে তো খাবি খেতে খেতে বার কয়েক আউট হওয়ার হাত থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছেন তিনি।
অ্যারাউন্ড দ্য উইকেটে খাজার দুর্বলতা অবশ্য নতুন নয়। ২০১৭-১৮ মৌসুমে অ্যাশেজ সিরিজে ইংলিশ পেসারদের সামনেও তার দুরবস্থা হয়েছিল। সেবার পেসারদের বলে পাঁচবার আউট হয়েছিলেন তিনি, যার মধ্যে চারবারই ডানহাতি পেসাররা অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল করেছিলেন।
এই সিরিজে, অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা পেসারদের ১২১ বল মোকাবেলা করে মাত্র ১৫ রান করতে পেরেছেন খাজা। এর আগে ২০০৫ সালে অ্যাশেজ সিরিজে ইংলিশ বোলারদের এধরনের প্রচেষ্টা পাল্টা আগ্রাসী ব্যাটিং দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন সাবেক অজি ওপেনার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। কিন্তু খাজা ঠিক তার উল্টোটা করতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিচ্ছেন।
রক্ষণাত্বক ব্যাটিং এধরনের বোলিংয়ে কোনো কাজে আসেনা তার বড় উদাহরণ অজি ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেডের ব্যাটিং। চলতি সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে ৪৭ বল খেলে ৩৪ রান তুলেছিলেন তিনি। অ্যারাউন্ড দ্য উইকেট থেকে করা বলকে পাল্টা আক্রমণ করেই সফল হেড। অবশ্য অমন এক ডেলিভারিতে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়েই থার্ডম্যানে দাঁড়ানো ফিল্ডারের কাছে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮
এমএইচএম