দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় প্রথমে ব্যাট করা দিল্লি নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১২৯ রান করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৯ বল হাতে রেখে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩১ করে জয় পায় হায়দ্রাবাদ।
১৩০ রনের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুটা দারুণ করেন হায়দ্রাবাদের দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও জনি বেয়ারস্টো। এই জুটি ৬.৫ ওভারে ৬৪ রান তোলেন। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করা ইংলিশম্যান বেয়ারস্টো ২৮ বলে ৪৮ করে রাহুল তিয়াটির বলে আউট হন। ৯টি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান তিনি।
এদিন ওয়ার্নার অবশ্য বেশ ধীর গতির ছিলেন। ১৮ বলে ১০ রান করে তিনি কাগিসো রাবাদার বলে ক্রিস মরিসকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় হন।
এরপর বিজয় শংকর, মানিশ পান্ডে ও দিপক হোডা দ্রুত বিদায় নিলে কিছুটা চাপে পড়ে সফরকারী দলটি। তবে মোহাম্মদ নবী (১৭) ও ইউসুফ পাঠানের (৯) অপরাজিত ব্যাটিংয়ে জয় পেতে সমস্যা হয়নি হায়দ্রাবাদের।
দিল্লি বোলারদের মধ্যে সন্দীপ লামিচানে, প্যাটেল, রাবাদা, তিওয়াটি ও শর্মা একটি করে উইকেট পান।
এর আগে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে হায়দ্রাবাদ বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে দলীয় সংগ্রহ বড় করতে পারেনি দিল্লি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন অধিনায়ক শ্রেয়াস আইয়ার। ৪১ বলে ৩টি চার ও একটি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজানোর পর রশিদ খানের বলে বোল্ড হন তিনি।
শেষ দিকে আক্সার প্যাটেল ১৩ বলে অপরাজিত ২৩ করলে ১২৯ রানের কোনোরকম সংগ্রহ পায় স্বাগতিক দলটি। তবে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি শাও, শিখর ধাওয়ান ও রিষভ পন্তের মতো প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যানরা।
হায়দ্রাবাদ বোলারদের মধ্যে ২টি করে উইকেট পান ভুবেনশবর কুমার, মোহাম্মদ নবী ও সিদার্থ কোউল। এছাড়া রশিদ ও সন্দীপ শর্মা একটি করে উইকেট দখল করেন।
ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন জনি বেয়ারস্টো। ৪ ম্যাচে ৩ জয় ও এক হারে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এলো হায়দ্রাবাদ।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৫, ২০১৯
এমএমএস