ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিশ্বকাপের আগে চমক দেখালেন রাহি

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৩ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
বিশ্বকাপের আগে চমক দেখালেন রাহি আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি

সিলেট: সিলেটের ছেলে আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি। ওয়ানডে অভিষেকের আগেই বিশ্বকাপ চূড়ান্ত স্কোয়াডে জায়গা করে নেওয়াই ছিল একটা চমক।

বিশ্বকাপ চূড়ান্ত স্কোয়াডে এই তরুণ পেসারকে রাখা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়তে হয় নির্বাচক কমিটিকেও। শুরুতেই গুঞ্জন ওঠে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে রাহি বাদ পড়া ও আরেক তারকা পেসারকে দলে নেওয়ার বিষয়টি।

সেই গুঞ্জন খানিকটা সত্যই হয়ে যাচ্ছিলো অভিষেক ম্যাচে ইউকেট শূন্য থাকায়।
 
জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রাহির পায়ে চোট আছে। তাকে ১৬ তম সদস্য করে পেসার ১৫ সদস্যের চূড়ান্ত স্কোয়াডে নেওয়া হবে তাসকিনকে। এরপরই স্যোসাল মিডিয়াজুড়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। একজন তরুণ ক্রিকেটারকে দলে নিয়ে ম্যাচ না খেলিয়ে বাদ দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
 
নির্বাচক ও টিম ম্যানেজমেন্ট  পরীক্ষার অংশ হিসেবে আয়ারল্যান্ডে চলমান ত্রিদেশীয় সিরিজের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাঠে নামানো হয় রাহিকে। অভিষেক ম্যাচে উইকেট শূন্য থেকে যান তিনি। এরপরই বিশ্বকাপ স্কোয়ার্ড থেকে বাদ পড়ার শঙ্কা আরো জোরালো হয়।
 
রাহির স্বপ্নের বিশ্বকাপ যখন দোলাচলে, এ অবস্থায় বুধবার (১৫ মে) পেসার রাহিকে নামানো হয় স্বাগতিক আইরিশদের বিপক্ষে।
 
এ যাত্রায় নিজেকে বিশ্বকাপের যোগ্য প্রমাণে সক্ষম হলেন রাহি। ৫ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার হয়ে সমালোচনার কড়া জবাব দিলেন তিনি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচে জ্বলে ওঠা রাহী এবার নির্বাচকদেরই চিন্তার বড় খোরাক।
 
ইনজুরি বা ফর্মে না থাকার অজুহাতে বিশ্বকাপের স্কোয়ার্ড থেকে এই পেসারকে বাদ দেওয়ার চিন্তা আপাতত দৃষ্টিতে না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।  

 
স্বাগতিক আইরিশদের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচে রাহি ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন। নিজেকে প্রমাণ করেছেন নির্বাচকদের কাছে। দলের বোলাররা যেখানে থেকেছেন উইকেটহীন, স্বাগতিকরা সফরকারী বোলারদের পিটিয়ে ৮ উইকেটে ২৯২ রান তুলেছেন। সেখানে বাংলাদেশের সফল বোলার রাহি। ৯ ওভারে ৫৮ রান খরচ করে শিকার করেছেন ৫ উইকেট।
 
বাংলাদেশ দলের সেরা তারকাদের একজন, বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ৯ ওভারে ৬৫ রান খরচ করেও থেকেছেন উইকেট শূন্য। পেসার সাইফুদ্দিন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেছেন ৯ ওভারে ৪৩ রানের বিনিময়ে। ১টি বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী মাশরাফী বিন মুর্তজার ৫ উইকেট শিকার বহু বছর আগের ঘটনা। সাকিব আল হাসান ৫ উইকেট পেয়েছেন ২০১৫ সালে।
 
এক সময়ের দাপট দেখানো স্পিনার আবদুর রাজ্জাকের ৫ উইকেট শিকার ৪ বার। ৩ বার ৫ উইকেটের দেখা পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। যেখানে ক্যারিয়ার শুরুর ২ ম্যাচেই ছিল টানা ৫ উইকেট।
 
এদের বাইরে একবার করে ৫ উইকেট পেয়েছেন রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ রফিক, ফরহাদ রেজা, আফতাব আহমদ, জিয়াউর রহমান এবং তাসকিন আহমদ।
 
ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০ ওভারের বোলিং কোটায় ৫ উইকেট শিকার চাট্টিখানি কথা নয়। অনেক কঠিন একটি ব্যাপার বটে। তবুও বোলাররা মাঝে মধ্যে এই কঠিন কাজকে সহজ করে তোলেন। ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশ দলের ৫ ইউকেট শিকারী বোলার মোট ১০ জন। রাহির আগে এই তালিকায় ছিলেন ৯ জন। যার সবশেষ সংযোজন আবু জায়েদ রাহি। রাহীসহ বাংলাদেশি ১০ বোলার মিলে ওয়ানডে ক্রিকেটে মোট ১৬ বার ৫ উইকেটের দেখা পেয়েছেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ০২০৯ ঘণ্টা, মে ১৬, ২০১৯
এনইউ/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।