শনিবার (২৭ জুলাই) বাংলাদেশ দলের অনুশীলন না থাকলেও ঐচ্ছিক অনুশীলনে যোগ দেন দলের নেতৃত্বে থাকা তামিম ইকবাল ও আরও কয়েকজন ক্রিকেটার। এরই ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন কোচ খালেদ মাহমুদ।
সুজন বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা দুটা জায়গাতেই শুরুটা ভালো করিনি। বোলিংয়ের শুরুটাও ভালো করিনি, ব্যাটিংয়ের শুরুটাও ভালো করিনি। এখানে যদি আমরা আরও একটু মনোযোগ দেই, আরও একটু ভালো করি। বোলিংয়ে এক সময় মনে হয়েছিলো ওরা ৩৭০-৮০ করে ফেলবে, সেখান থেকে একটা পজেটিভ দিক আমরা পেয়েছি, অনেকদিন পর ডেথ ওভারে ভালো বল করলাম। ’
‘আমার মনে হয়, ব্যাটিংয়েও শুরুটা ভালো করা উচিৎ ছিলো। এগুলো যদি আমরা নেগোশিয়েট করতে পারি, উইকেটটা যদি আমরা না দেই তাহলে ভালো কিছু হবে। স্বীকার করতেই হবে মালিঙ্গার দুইটা দারুণ ডেলিভারিতে সৌম্য-তামিম আউট হয়েছে। এমন কিছু হতেই পারে। তবুও বাকিরা যদি উইকেট না দিত আমার মনে হয় আমরা ম্যাচেই ছিলাম। সাব্বির-মুশফিকের জুটি যদি আরও একটু বড় হতো, তাহলে ম্যাচটা আরও ক্লোজ হতো। তবুও আমরা ভুল থেকেই শিখছি। এই ভুল আর করা যাবে না তা ক্রিকেটাররাও বোঝে।
দলের যোগ্যতা আছে কামব্যাক করার, ইনশাআল্লাহ আমরা কামব্যাক করবো। ’
দলের ফিল্ডিং নিয়ে আলাদাভাবে জানাতে গিয়ে সুজন যোগ করেন, ‘ফিল্ডিংটা টেকনিক্যাল কোনো ব্যাপার না। আপনি চাইলেই ফিল্ডিংয়ের টেকনিক পাল্টাতে পারবেন না। আসল কথা হচ্ছে মাঠে ইনভলমেন্ট। ক্রিকেটারদের মাঠের ইনভলমেন্ট যদি আরও একটু ভালো থাকে তাহলেই ভালো হবে। অনেক সময় প্রতিপক্ষ চেপে ধরে, সে সময় আমাদের ক্রিকেটাররা ছন্নছাড়া হয়ে যায়। ওরা যখন চেপে ধরে তখন মাঠে আরও মনোযোগ দিতে হবে। ম্যাচে আমরা বেশ কিছু মিস ফিল্ডিং করেছি আমি সেটা স্বীকার করছি, তবে আশা করি আমরা ম্যাচে ফিরবো। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, আমি বিশ্বাস করি আমরা সেখান থেকে ফিরবো। ’
সিরিজ জিতবে কী জিতবে না সেই চিন্তা এখনই মাথায় আনতে চাইছেন না খালেদ মাহমুদ। এক কথায় জানিয়ে দেন, আগে রোববারের (২৮ জুলাই) ম্যাচটি জিতি বাকিটা পরে ভাবা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৯
এমকেএম/এমএমএস