শুধু ফাস্ট বোলার ও লেগ স্পিনারই নয়, আসন্ন আসরে প্রতিটি দলে একজন করে বিদেশি কোচ, ফিজিও এবং ট্রেনার রাখাও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। স্থানীয় কোচরা বিদেশি কোচদের সহকারী হিসেবে কাজ করতে পারবেন।
১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করতে সক্ষম এমন বোলার এবং লেগ স্পিনার রাখার সিদ্ধান্তের পেছনে ভূমিকা রেখেছে টিম ম্যানেজমেন্ট। মাহবুবুল আনামের মতে, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সামর্থ্যের কথা চিন্তা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাহবুবুল আনাম বলেন, ‘টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উন্নতির কথা ভেবে এবারের বিপিএলে এমন সব নিয়ম যুক্ত করছে বিসিবি। আমরা চাই যেন আমাদের ব্যাটসম্যান ও বোলাররা পূর্ণ সুযোগ পায় (ফাস্ট বোলার ও লেগ স্পিনাদের বিপক্ষে)। ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক বিপিএলে এমনটা সম্ভব হতো না। ’
এদিকে বিপিএলের ড্রাফটে যুক্ত হতে বিসিবি প্রায় ৪০০ খেলোয়াড় আবেদন করেছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া অনেক কোচও এই তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এবারের আসরে প্রতিটি দল নিজস্ব স্পন্সর নিতে পারবে। দলগুলো ড্রাফটের বাইরে থেকেও খেলোয়াড় কিনতে পারবে সেই ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে।
তবে এবারের বিপিএলে সমস্যা হয়ে দেখা দিতে পারে বিদেশি খেলোয়াড়দের সঙ্গে স্থানীয় খেলোয়াড়দের মধ্যে আয়ের বৈষম্য। যদিও বিসিবি জানিয়েছে, বিপিএলের ২০১৯-২০ আসরে মূলত স্থানীয় খেলোয়াড়দের ফোকাস করা হবে। কিছুদিন আগে এই বিষয়ে বিসিবি’র পরিচালক খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, ‘খেলোয়াড়দের টাকা নিয়ে ভাবার দরকার নেই। আমরা বিষয়টা মাথায় নিয়েই কাজ করছি। বেতন অবশ্যই মানানসই হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৯
এমএইচএম