পাকিস্তান সফরের তৃতীয় ধাপে পাকিস্তানের করাচিতে একটি ওয়ানডে ও একটি টেস্ট খেলবে টাইগাররা। কিন্তু এই করাচি শহরেই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা পাকিস্তানের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
পাকিস্তানে এখন পর্যন্ত মোট ২১ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ১৬ জনই করাচির বাসিন্দা। অথচ এই করাচির মাঠেই খেলতে হবে বাংলাদেশ দলকে। তবে এই সফর স্থগিতের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে পিসিবি। শনিবার (১৪ মার্চ) পিসিবি'র প্রধান নির্বাহী উসমান খান বলেন, "আমি নিজামউদ্দিন চৌধুরীর (বিসিবি'র প্রধান নির্বাহী) সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু তিনি আগে তার বোর্ডের সঙ্গে কথা বলতে চান। আশা করি আগামী তিনদিনের মধ্যে আমরা একটি সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসতে পারব। "
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি করাচিতে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী খুঁজে পাওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত করে পাকিস্তান। এরপর থেকেই বাংলাদেশের সফর নিয়ে অনিশ্চয়তার শুরু। এরপর কোনো ঝুঁকি না নেওয়ার ব্যাপারে পিসিবি'র সঙ্গে আলোচনা করার পরিকল্পনা করে বিসিবি। এর আগে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের আছে বাড়তি সময় পাওয়ার জন্য সূচিতে পরিবর্তন আনার অনুরোধ জানিয়েছিল বিসিবি। পরে সেই অনুরোধ রক্ষা করে পিসিবি।
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে পাকিস্তান সফর অনিশ্চিত হয়ে পড়ার বিষয়ে বিসিবি'র প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন জানিয়েছেন, সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণের বিষয়ে পিসিবি'র সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন। যেহেতু সিরিজের আয়োজক পাকিস্তান, তাই সিদ্ধান্তটা তাদের দিক থেকেই আসুক, এমনটাই চাইছে বিসিবি।
নিজামউদ্দিন বলেন, 'আপনারা জানেন করোনা আতঙ্কে এরইমধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট পাকিস্তান সুপার লিগ (পিসিএল) ছেড়ে নিজ নিজ দেশে ফিরে গেছেন ৯-১০ জন বিদেশি ক্রিকেটার। যেহেতু আমরা সফরকারী দল তাই আমরা তাদের (পিসিবি) সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি। আমাদের সফর বিষয়ক উপদেষ্টারা বিভিন্ন মতামত দিচ্ছেন আর আমরা সেসব নিয়ে বেশ চিন্তিত। আমরা আশা করি পিসিবি আসন্ন সফর নিয়ে তাদের অবস্থান পরিষ্কার করবে এবং তাদের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে। '
এদিকে শেষ মুহূর্তে গিয়ে যদি ভেন্যু পাল্টানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটাও মানবে না বিসিবি। কারণ এমনটা হলে সফরকারী দলের নিরাপত্তা নিয়েও নতুন করে ভাবতে হবে। তিনি বলেন, 'করাচির বদলে অন্য কোনো ভেন্যুতে সিরিজ আয়োজন করার প্রস্তাব দেওয়া হয় তাহলেও এই সফর হওয়ার কোনো সুযোগ দেখছি না। শেষ মুহূর্তে ভেন্যু পাল্টানোর বিষয়ে বিসিবি একমত হবে না, কারণ এতে নিরাপত্তা ঝুঁকি আছে। '
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
এমএইচএম