গত শুক্রবার (২৭ মার্চ) দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন সঞ্চিতা। ঘটনার দু’দিন পর রোববার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে বিষয়টি জানান লিটনের পত্নী।
স্ট্যাটাসে সঞ্চিতা লিখেন, ‘আসলে আমি একটি দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েছিলাম। তাই মেসেঞ্জারে অ্যাক্টিভ ছিলাম না, অনেকের উত্তর দিতে পারিনি। গত পরশু বরাবরের মতই আমি রান্নাঘরে যাই চা বানাতে। আমি যখন গ্যাস প্রথমবার অন করি তখন অল্প জ্বলে নিভে গেল। এরপর দ্বিতীয়বার বার্নার প্রেস করতেই বিস্ফোরণ হয়। নতুন বাসা তাই সিলিন্ডার ব্যবহার করি। যদিও সিলিন্ডারটা নিচে ছিল। নিচের সমস্ত কেবিনেটে এক সঙ্গে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হলে যেভাবে আগুন বের হয় ঠিক সেভাবেই বের হয়েছিল। আমি ডান হাত দিয়ে মুখটা রক্ষা করার চেষ্টা করি তাই ডান হাতটা বেশি পুড়ে গেছে এবং ঘুরে যাওয়ার কারণে পেছনের প্রায় সব চুলেই আগুন ধরে গিয়েছিল। নিজেকে কোনোভবে রক্ষা করি। আগেরদিনই আমার মনে হয়েছিল যে গ্যাস প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছিল। তবে এটা (চুলা) কাজ করায় আমি গুরুত্ব দিয়েছিলাম না। হয়তো শেষ গ্যাস তাই এভাবে বিস্ফোরণ হয়েছিল। আমি এটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না আর এটা আমার পক্ষে ভোলাও সম্ভব নয়। কারণ মৃত্যুর অনেক কাছ থেকে ফিরে এসেছি। সামনে হাত দিয়ে ঘুরে না দাঁড়ালে পুরো মুখটাই পুড়ে যেত। এখন আমার চুল কাটতে হবে। এটা খুব কষ্টদায়ক। তবে ঠিক হয়ে যাবে। যদি মুখে আগুন লেগে যেত কি হতো জানিনা। তাই এসব ক্ষেত্রে সবসময় সবাই খুব সাবধান থাকবেন। আপনাদের সকলের দোয়া প্রার্থী। ’
গত বছর ২৮ জুলাই জাতীয় দলের ওপেনার লিটন দাসের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন সঞ্চিতা।
বাংলাদেশ সময়ঃ ১১০১ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০২০
আরএআর/ইউবি