করোনা মহামারি পর গত ১৯ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত অনুশীলন। ক্রিকেটাররা স্বাস্থবিধি মেনেই অনুশীলন করেছেন।
করোনা পরীক্ষার পর বুধবার (০৯ সেপ্টেম্বর) থেকে আবারও শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের অনুশীলন। তবে এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) করোনা সংক্রমণ থেকে সতর্ক থাকার জন্য অনুশীলনে কঠোর নিয়ম করা হয়েছে। মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে রেড জোন ও গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে।
নতুন নিয়মে ক্রিকেটার থেকে শুরু করে স্টেডিয়ামে কর্মরত সবাইকেই দেওয়া হবে অনুমোদন কার্ড। রেড জোন থেকে গ্রীন জোনে কিংবা গ্রিন জোন থেকে রেড জোনে সহজে প্রবেশ করা যাবে না। প্রবেশ করতে লাগবে করোনা নেগেটিভ সনদ। এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় ঢুকতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হবে। এই বিষয়গুলো বুধবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিসিবি’র প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী।
দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, 'আমরা পুরো স্টেডিয়ামকে গ্রিন ও রেড জোনে ভাগ করেছি। গ্রিন জোন মানে যে জায়গাগুলোতে প্লেয়াররা চলাফেরা করবে। অর্থাৎ এটি নিরাপদ জোন। এখানে আমরা বাইরের লোকজন প্রবেশ নিষিদ্ধ করে দিচ্ছি। গ্রিন জোনের আওতায় আছে- স্টেডিয়াম, জিমনেশিয়াম, ইনডোর মানে যেখানে যেখানে প্লেয়াররা যাবে। এখন থেকে তাদের জন্য অনুমোদন কার্ড করা করা হবে। গ্রিন জোনে যেতে অবশ্যই গ্রিন কার্ডধারী হতে হবে। '
তিনি আরও বলেন, 'রেড জোনে অন্যরা যাবে। মানে যাদের অফিসিয়াল কাজ থাকবে। যাদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগের প্রয়োজন নেই, তারা রেড জোনে থাকবে। আর যাদের দরকার আছে তারা গ্রিন জোনে। আবার গ্রীন জোনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া মানে এই নয় যে ওখানে আমি যত্রতত্র যাব। যখন প্রয়োজন হবে কাজের গুরুত্ব বিবেচনা করে তাদের যেতে দেওয়া হতে পারে। তবুও তাদের যাওয়ার পথে জায়গায় জায়গায় চেক করা হবে। সিরিজের জন্য দল দেওয়া হলে প্লেয়াররা যখন টিম হোটেল থেকে মাঠে আসবে তখন করোনা পরীক্ষা ছাড়া কোনো লোক ঢুকবে না। ঢুকতে হলে অবশ্যই করোনা নেগেটিভ হতে হবে। '
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২০
আরএআর/এমএইচএম