অবিশ্বাস্য এক ম্যাচ। রোববার রাতে রাজস্তান রয়্যালস ও কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ম্যাচটি যারা দেখেছেন তারা একবাক্যে স্বীকার করবেন এমন নাটকীয়তায় ভরা ম্যাচ বহুদিন দেখেননি।
আক্ষরিক অর্থেই তাই। ২২৪ রানের বিশাল লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামে রাজস্তান। স্টিভ স্মিথের ঝড়ে কিছুটা সামালে উঠার পর নামেন তেওয়াটিয়া। কিন্তু শুরুতে ব্যাটে-বলেই মেলাতে পারছিলেন না এই তরুণ ব্যাটসম্যান। একের পর এক ডট দিচ্ছিলেন। প্রথম ১৯ বলে করলেন মাত্র ৮ রান।
এদিকে দল ভীষণ চাপে। এমনকি অপরপ্রান্তের সঙ্গী স্যামসনও স্ট্রাইক দিতে চাচ্ছিলেন না। লজ্জায় নিশ্চয় ডুবে মরতে ইচ্ছে হচ্ছিল তার। কিন্তু না হারে মানেন নি তিনি। সেই তেওয়াটিই শেলডন কটরেলের এক ওভারে মারলেন ৫ ছক্কা। আইপিএল ক্যারিয়ারে প্রথম ফিফটি তুলে নেওয়ার পথে শেষ ১২ বলেই করলেন ৪৭ রান!
তেয়াওয়াটির নায়ক বনে যাওয়া ছাড়াও শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়াম রোববার রাতে যেন টি-টোয়েন্টির সব রোমাঞ্চের পসরা সাজিয়ে বসেছিল। রেকর্ড লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুতেই জস বাটলারের উইকেট হারিয়ে বসেছিল রাজস্তান। স্যামসন ও স্মিথ মিলে ৮১ রানের জুটি গড়ে শুরুর ধাক্কা সামলে উঠেছিল দলটি। কিন্তু তখনও তুলতে হবে ওভারপিছু ১২ রান করে।
স্মিথ (৫০) ও স্যামসন মিলে পাওয়ার প্লেতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভাঙেন। একই ম্যাচে রেকর্ডটি গড়েছিল পাঞ্জাব। ৯ম ওভারেই ১০০ রান রান তুলে ফেলা রাজস্তান ধাক্কা খায় জিমি নিশামের বলে স্মিথ বিদায় নিলে। তারপরও স্যামসন এক হাতে লড়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তগত ৮৫ রানে মোহাম্মদ শামির বলে তিনিও বিদায় নেন।
স্যামসন বিদায় নেওয়ার পর হাত খুলে খেলতে শুরু করেন তাওয়াটিয়া। কটরেলের এক ওভারে ৫ ছক্কাসহ ৩১ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলার পথে তিনি ছক্কা মেরেছেন ৭টি, বাউন্ডারি নেই একটিও! শামির করা ১৯তম ওভারের শেষ বলে তিনি যখন বিদায় নেন তখন জয় থেকে মাত্র ২ রান দূরে রাজস্তান।
তবে রাজস্তানের জয়ে জোফরা আর্চারের ভুমিকার কথাও উল্লেখ না করলেই নয়। শেষ দিকে ৩ বলে ২ ছক্কায় ১৩ রান করেছেন এই ইংলিশ পেসার।
এর আগে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মায়াঙ্ক আগারওয়ালের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি ও লোকেশ রাহুলের অনবদ্য ৬৯ রানের ইনিংসে ভর করে মাত্র ২ উইকেট হারিয়েই ২২৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পেয়েছিল পাঞ্জাব। এর মধ্যে আগারওয়াল ৫০ বলে ৭ ছক্কা ও ১০ চারে করেছেন ১০৬ রান। রাহুলের ব্যাট থেকে আসে ৬৯ রান। দুজনের ১৮৩ রানের জুটি এখন পর্যন্ত চলতি আসরের সর্বোচ্চ জুটি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সব অর্জন বৃথা গেল।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০
এমএইচএম