ক্রিকেট থেকে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে কিছুদিন আগেই মুক্ত হয়েছেন সাকিব আল হাসান। দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকলেও ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন তিনি।
এ বিষয়টি নিয়ে অবশ্য বুধবার (১১ নভেম্বর) কিছু বিভ্রান্তি ছড়ায়। দেশের প্রায় প্রতিটি শীর্ষ সংবাদমাধ্যম জানায়, ফিটনেস টেস্টে সাকিব সর্বোচ্চ স্কোর করেছেন। একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, এক বছর পর ফিরে আসা সাকিব ১৩.৭ পয়েন্ট তুলেছেন, যা তিনদিন ধরে চলমান ফিটনেস টেস্টে সর্বোচ্চ স্কোর। যেখানে বিপ টেস্টের স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়েছে ১১।
তবে নান্নু এক বিবৃতিতে জানান, আজকে আমরা ফিটনেস টেস্ট শেষ করেছি, ড্রাফটে যাদের নাম দিয়েছিলাম এদের সবাইর ফিটনেস টেস্ট নেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু খেলোয়াড়ের স্ট্যান্ডার্ড বাজে ছিল। তবে ৯৮ শতাংশ খেলোয়াড়ই ভালো করেছে। সাকিব আল হাসানও আজকে দিয়েছে। আমাদের স্ট্যান্ডার্ডের একদম কাছেই আছে। তবে আমাদের ট্রেইনাররা ওর ফিটনেস নিয়ে যথেষ্ট সন্তুষ্ট। তো আমি আশা করছি যে খেলোয়াড়রা কন্টিনিউয়াস এই প্রগ্রেসের মধ্যেই থাকবে, সবার পারফরমেন্সে যথেষ্ট উন্নতি হবে।
এর আগে গত সোমবার (৯ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্ট। বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে খেলা ক্রিকেটার ও হাই-পারফরম্যান্স (এইচপি) দলের ক্রিকেটারসহ মোট ১১৩ জন ক্রিকেটারকে এই ফিটনেস টেস্টে রাখা হয়।
নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা সাকিবের বিপ টেস্ট প্রথমদিনেই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রেনারের সঙ্গে পরামর্শ করে সূচি পিছিয়ে নেন তিনি। ফিটনেস টেস্টের তৃতীয় দিনে আজ বুধবার সকাল ১০টায় মিরপুর ইনডোরে বিপ টেস্টে অংশ নেন সাকিব।
পাঁচ দলের বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি উপলক্ষ্যে গত দুই দিনে বিসিবি’র নেয়া দুই ফিটনেস টেস্টের প্রথমদিন নিহাদুজ্জামান তোলেন সর্বোচ্চ ১৩.৪ পয়েন্ট। দ্বিতীয় দিন পেসার মেহেদী হাসান তোলেন ১৩.৬।
এর আগে প্রথমদিন আবদুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আশরাফুল, শাহরিয়ার নাফিসরা ১১-এর ওপর স্কোর পেয়েছেন। তবে বিপ টেস্টে ফেল করেছেন স্পিন অলরাউন্ডার নাসির হোসেন ও সোহাগ গাজী। ফিটনেস টেস্টে যারা পাশ করতে পারেননি তাদেরকে কোনোরকম ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন নান্নু।
আগামী ১২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ার ড্রাফট। ফিটনেস টেস্টে উত্তীর্ণ ক্রিকেটার, জাতীয় দল, এইচপির খেলোয়াড় মিলিয়ে প্রায় শতাধিক ক্রিকেটার থাকছেন এই ড্রাফটে।
বাংলাদশ সময়: ১৯১৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২০
এমএমএস/আরএআর