ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্রিকেট

শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৭, ২০২১
শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে বাংলাদেশ ছবি: শোয়েব মিথুন

মাহমুদুল হাসান জয় অভিষেকেই 'ডাক' মারার পর দ্রুত বিদায় নিলেন আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম ও টাইগার দলপতি মুমিনুল হক। ইনিংসের নবম ওভারে হাসান আলীর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজিদ খানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন সাদমান (৩)।

এরপর সাজিদের পরের ওভারে মুমিনুলকে রান আউট করে সাজঘরে ফেরান হাসান।  ২২ রানেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের সংগ্রহ ১০.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২২ রান।  

ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় খুবই বাজে। ১ রানেই হারায় ১ উইকেট। অভিষেক ম্যাচে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। ৭ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। তার উইকেটটি পেয়েছেন পাকিস্তানি পেসার সাজিদ খান। এরপর নবম ওভারে সাজিদের বাড়তি বাউন্সে পরাস্ত হয়ে ফিল্ডার হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাদমান (৩)।  

এক ওভার পরেই ফের আক্রমণে আসেন সাজিদ। ওভারের প্রথম বলেই বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক পয়েন্টে ড্রাইভ করে ছুট লাগান। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই সরাসরি থ্রোয়ে স্ট্যাম্প ভাঙেন হাসান আলী। মাত্র ২ বল স্থায়ী হয় মুমিনুলের ১ রানের ইনিংস। ২২ রানেই ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এর আগে মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফাওয়াদ আলমের ব্যাটে ভর করে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩০০ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান।  

বৃষ্টি ও মেঘের শঙ্কা কাটিয়ে মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে শুরু হয় মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা। ২ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান নিয়ে এদিন ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দিনের দ্বিতীয় ওভারেই সেট ব্যাটার আজহারকে (৫৬) বিদায় করেন এবাদত। বাংলাদেশি পেসারের বলে পুলকরতে গিয়ে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দেন আগের দিন ৫২ রানে অপরাজিত থাকা আজহার।  

এরপর আগের দিন ৭১ রানে অপরাজিত থাকা বাবরকে ইনিংসের ৬৮তম ওভারে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন খালেদ, এটি তার প্রথম টেস্ট উইকেট। ড্রেসিং রুমের পথে হাঁটার আগে ১২৬ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৭৬ রান করেন বাবর। দলীয় ১৯৭ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফাওয়াদ আলম হাল ধরেন ইনিংসের।  

রিজওয়ান দুইবার রিভিও নিয়ে বেঁচে যান। প্রথমবার এবাদতের অফ স্টাম্প ঘেঁষা ও নিচু হওয়া ডেলিভারিতে বল কিপারের গ্লাভসে জমা হলে আবেদন করেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলে রিভিও নেন রিজওয়ান। রিভিওয়ে দেখা যায় বল ব্যাট ছুঁয়ে যায়, কিন্তু ক্যাচ হওয়ার আগে এক ড্রপ খায়। ফলে শূন্য রানে টিকে যান পাকিস্তানি উইকেটরক্ষক-ব্যাটার।

ফাওয়াদ বেঁচে যান আপিল না করায়। এবাদতের ডেলিভারি ফাওয়াদ ঠিকমতো খেলতে না পারলে বল ব্যাটের কানা ছুঁয়ে জমা হয় কিপারের গ্লাভসে। কিন্তু বাংলাদেশের ফিল্ডাররা আবেদনই করলেন না। টিভি রিপ্লেতে দেখা গেল, ব্যাটে হালকা লেগেছিল ব্যাট। ফলে নিশ্চিত উইকেট পেল না বাংলাদেশ।

এরপর তাইজুলের বলে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে-বলে করতে পারেননি রিজওয়ান। বল লাগে তার প্যাডে। আবেদন করলে আম্পায়ার মাইকেল গফ আঙুল তুলে দেন। কিন্তু রিজওয়ান রিভিও নিলে রিপ্লেতে দেখা যায় বলের লাইন ঠিক থাকলেও অনেকটা টার্ন করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। ফলে ব্যক্তিগত শূন্য রানের পর ১২ রানেও টিকে যান রিজওয়ান। পরে তুলে নেন দারুণ এক ফিফটি ৮৬ বলে ক্যারিয়ারের সপ্তম ফিফটি করার পথে তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন।  

রিজওয়ানের পর ফাওয়াদও তুলে নিয়েছেন ফিফটি। এটি বাঁহাতি ব্যাটারের মাত্র দ্বিতীয় টেস্ট ফিফটি। সেই সঙ্গে পাকিস্তানের সংগ্রহও ৩০০ ছুঁয়ে ফেলে। ৯৬ বলে ৭ চারে ৫০ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন ফাওয়াদ। রিজওয়ান ব্যাট করছিলেন ৫৩ রানে। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে আসে ১০৩ রান।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad