বাংলাদেশ দলের বিদেশ সফর মানেই বিশাল বহর। খেলোয়াড়, কর্মকর্তা মিলিয়ে অনেকেই হন ভ্রমণসঙ্গী।
পাপন বলেছেন, ‘আমরা দেখছি খরচ অসম্ভব হারে বেড়ে গেছে। দেশের কথা বলছি না। অনেক কিছুরই খরচ বেড়ে গেছে। উদাহরণস্বরুপ আগে যে টিকিট ভাড়া ছিল ৩-৪ লাখ, সেটি এখন হয়ে যাচ্ছে ১০-১১ লাখ। হোটেল ভাড়া যেটা ছিল বড়জোর ২৫০ ডলার। সেটি এখন কমপক্ষে ৪০০-৫০০ ডলার করে লাগছে। ’
‘এত বেশি করে দেওয়ার পরেও পাওয়া যাচ্ছে না। তো খরচ একটা বড় ইস্যু। সেজন্য আজকের সভায় আমরা বলেছি এই খরচ কমিয়ে আনতে হবে। এতদিন আমরা যেভাবে (বিদেশ সফরে) পাঠিয়েছি, বিশেষ করে কোভিড পরিস্থিতিতে সতর্কতাস্বরুপ অনেক বাড়তি খেলোয়াড়-স্টাফ পাঠিয়েছি। এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। ’
আগামী ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ থেকেই এই চেষ্টা শুরু করবে জানিয়ে পাপন বলেছেন, ‘এছাড়া যেহেতু এখন বাইরে জিনিসপত্রের দাম সম্পর্কে কিছুই বলা যাচ্ছে না, সেজন্য বোর্ডকে সামগ্রিকভাবে বলা হয়েছে প্রত্যেকটা বাজেট কমিয়ে আনতে হবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকেই শুরু। এখানেও যাদেরকে না পাঠালেও চলে... এরকম কিছু হয়তো বাদ যাবে। তার মানে আমাদের ঘোষিত স্কোয়াডে খেলোয়াড় সংখ্যা কমতেও পারে। তবে এটি চূড়ান্ত নয়। ’
‘এছাড়াও আমাদের সবাই এখন যার যার নিজের ডিপার্টমেন্টের নতুন বছরের বাজেট পেশ করবে এখন। তাদেরকে বলা হয়েছে, এবারের যেন আগের বাজেটের চেয়ে না বাড়ে। আমাদের নতুন নতুন অনেক কিছু করার কথা ছিল। সেগুলো আপাতত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছাড়া ৩-৪ মাসের জন্য স্থগিত রাখা হচ্ছে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, জুন ২, ২০২২
এমএইচবি/আরইউ