সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নে বিএম কনটেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অনেকে হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন।
এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তামিম লিখেছেন, 'চট্টগ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সকলকে অনুরোধ করবো চট্টগ্রাম মেডিকেলে অবস্থান করার জন্য। সীতাকুণ্ডের কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা অনেক, প্রচুর পরিমাণ রক্তের প্রয়োজন হচ্ছে। '
'দয়া করে যে যেখানে আছেন সাধ্যের মধ্যে থাকলে এক্ষুনি ছুটে যান, আপনার এক ব্যাগ রক্ত হয়তো বাঁচিয়ে দিতে পারে একটি প্রাণ। আপনার পরিচিত রক্তযোদ্ধা বন্ধুদেরও আসার জন্য অনুরোধ করুন। মানুষ মানুষের জন্য। '
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন চমেক হাসপাতালে কর্মরত জেলা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক আলাউদ্দীন তালুকদার। ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আনিসুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট উদ্ধার কাজ করছে।
ডিপোতে বিপুল পরিমাণ ‘হাইড্রোজেন পার অক্সাইড’দাহ্য রাসায়নিক থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, চমেক হাসপাতাল বার্ন ইউনিটে ৫২ জন এবং অর্থোপেডিক বিভাগে ১০ ভর্তি রয়েছে। চমেক হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. রফিক উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ৫২ জন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তাদের বেশিরভাগেরই শ্বাসনালী পোড়া। তাদের বাঁচাতে আমাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। '
আরও পড়ুন- সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা ৪৩
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০২২
এমএইচএম