বিশ্বকাপে সুযোগটা তারা নিশ্চিত করেছিল বাছাই পর্বের বাধা টপকেই। কিন্তু তবুও অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল বিশ্বকাপে খেলা।
তবে ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে ফিফা। এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ‘সব পক্ষের তথ্য-প্রমাণ পর্যালোচনার পর ফিফার শৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটি ইকুয়েডরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ’ যদিও ফিফার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে চিলির।
ইকুয়েডরের ডিফেন্ডার বায়রন কাস্তিলো ভূয়া জন্ম সনদ দেখিয়ে বাছাইপর্ব খেলার কারণে গত মাসে ফিফার কাছে চিলি ফুটবল ফেডারেশন ইকুয়েডরের এই ডিফেন্ডারের বিরুদ্ধে অভিযোগটি করে। বিষয়টি তদন্ত করে এটিকে প্রত্যাখ্যান করেছে তারা।
চিলির অভিযোগ জন্ম সনদ জালিয়াতি করে বাছাইপর্ব খেলেছেন এই ডিফেন্ডার। মেক্সিকান সংবাদমাধ্যম ‘টিভিঅ্যাজটেকা’-তে প্রকাশিত এক সংবাদ সম্মেলনে চিলির পক্ষে থাকা আইনজীবি কারলেজ্জো দাবি করেন কাস্তিলোর জন্ম কলম্বিয়ার তুমাকোয়, ‘তার মা–বাবার বিয়ে তুমাকোয়। বায়রনের জন্মও তুমাকোয়। ১৯৯৮ সালে তার জন্ম, কিন্তু নথিভুক্ত করা হয় ২০১২ সালে। আমরা এখানে এসেছি, কারণ নিজেদের যুক্তি ও প্রমাণ ন্যায্য এবং পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে চাই। ’
কাস্তিলো ভূয়া সনদ দেখিয়ে খেলেন, এটি প্রমাণিত হলে বাছাইপর্বে ইকুয়েডরের হয়ে তার অংশগ্রহণ করা আটটি ম্যাচেরই পয়েন্ট কাটার কথা ছিল ফিফার। আর যেসব ম্যাচে কাস্তিলো প্রতিপক্ষ হিসেবে ছিল ঐ ম্যাচগুলোর পূর্ণ পয়েন্ট পাবে প্রতিপক্ষ দলগুলো। এতে ইকুয়েডরের হয়ে এই ডিফেন্ডার সবগুলো ম্যাচ খেলায় তাদের পয়েন্ট শূন্য হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে টেবিলের চারে উঠে আসবে চিলি। আর পাঁচে চলে যাবে পেরু। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্লে-অফে খেলে তাদের মূল পর্ব নিশ্চিত করতে হবে।
বাংলাদেশ সময় : ১৯৩৬, জুন ১০, ২০২২
এমএইচবি