প্রথম ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু বাঁচামরার ম্যাচে এসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো স্বাগতিকরা।
ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হলেও ভেজা আবহাওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি। এমনকি স্পিনারেরাও মাঝে–মধ্যে বাঁক পেয়েছেন। ১২ ওভারের মধ্যে ৭২ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ডের। সেখান থেকে ইংল্যান্ড ২০১ রান তুলতে পেরেছে লিয়াম লিভিংস্টোন–স্যাম কারেনদের কল্যাণে। পুরো সময় অবশ্য খেলতে পারেননি। অলআউট হয় ২৮.১ ওভারে।
মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় মুখ থুবড়ে পড়ল দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং। ৬ রানে ৪ উইকেটের ধ্বংসস্তূপ থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারল না তারা। দারুণ জয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ইংল্যান্ড।
বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে শুক্রবার ২০১ রান করেও ইংল্যান্ডের জয় ১১৮ রানে। তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতা। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডেতে এটি তাদের যৌথভাবে সর্বনিম্ন স্কোর। ২০০৮ সালে ট্রেন্ট ব্রিজে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা।
রিস টপলি একই ওভারে ফিরিয়ে দেন ইয়ানেমান মালান ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রাসি ফন ডার ডুসেনকে। ডেভিড উইলির পরের ওভারে ক্যাচ দেন কুইন্টন ডি কক, আর এইডেন মার্করাম রান আউট হয়ে ফিরে যান। ডি কক ছাড়া বাকিদের কেউ রানের খাতা খুলতে পারেননি।
ওয়ানডে ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয়বার একই স্কোরে প্রথম ৪ উইকেট হারাল কোনো দল। ১৯৮১ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়া ২৮ রানে, ২০০৬ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস ২৯ রানে প্রথম ৪ উইকেট হারিয়েছিল।
ওই ধাক্কা আর সামলে উঠে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ডেভিড মিলারকে দ্রুত কারান বোল্ড করে দিলে তাদের স্কোর হয়ে যায় ৫ উইকেটে ২৭।
ওয়ানডেতে দলটির সর্বনিম্ন ৬৯ রান নতুন করে লেখার শঙ্কাও উঁকি দিচ্ছিল তখন। সেটি পেরিয়ে যেতে পারলেও বড় হার এড়াতে পারল না তারা। ইনিংস সর্বোচ্চ ৩৩ রান করেন হেনরিখ ক্লাসেন। দুই অঙ্কে যেতে পারেন আর কেবল মিলার (১২) ও প্রিটোরিয়াস (১৭)। ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের সফলতম বোলার লেগ স্পিনার রশিদ। টপলি ও মইন নেন ২টি করে উইকেট।
আগামী রোববার লিডসে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
এআর