ছয় বছর পর ফিরলেন জাতীয় দলে। প্রথম ম্যাচে সুবিধে করতে পারেননি; তবে দ্বিতীয় ম্যাচে নিজের জাত চেনালেন রাইলি রুশো।
বাঁহাতি এই ব্যাটারের দুর্দান্ত এই ইনিংসের সামনে দাঁড়াতে পারেনি ইংলিশরা। দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫৮ রানে হেরেছে তারা। প্রোটিয়াদের দেওয়া ২০৮ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নামে ১৪৯ রানেই থেমে যায় দলটি।
বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেন্সে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ভালো শুরু পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। উদ্বোধনী জুটিতে দ্রুত রান তুলতে থাকেন কুইন্টন ডি কক ও রিজা হেনড্রিকস। ৩৯ রানের জুটি গড়ে মঈন আলীর বলে বিদায় নেন ১৫ রান করা ডি কক। এরপর ব্যাট করতে নামা রুশো হেনড্রিকসের সঙ্গে গড়েন ৭৩ রানের দারুণ জুটি।
২৯ বলে অর্ধশতক হাঁকান হেনড্রিকস। আর তিন রান যোগ করতেই রিচার্ড গ্লিসনের শিকার হন প্রোটিয়া এই ওপেনার। একপ্রান্তে লড়তে থাকা রুশো ফিফটি হাঁকান ৩২ বলে। অপরপ্রান্তে থাকা ক্লাসেন বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। তবে ত্রিষ্টান স্টাবস এসে ৬৪ রানের জুটি গড়েন রুশোর সঙ্গে। শেষ পর্যন্ত দলকে ২০৭ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন এই দুই ব্যাটার। ৫৫ বলে ৫ ছক্কা ও ১০ চারে ৯৬ রানে অপরাজিত থাকেন রুশো। ১২ বলে ১৫ রান করেন স্টাবস।
বড় লক্ষ্য তাড়ায় খেলতে নেমে শুরুটা ভালো করে ইংলিশরা। ২২ বলে ৩৭ রানের জুটি গড়েন জেসন রয় ও জস বাটলার। আন্দিল ফেহলুকায়ো এসে বাটলারকে ফিরিয়ে ভাঙেন এই জুটি। ১৪ বলে ২৯ রান করে বিদায় নেন ইংলিশ ওপেনার। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রয়ও। ২০ রানে উইকেট হারান তিনি। এর আগে ৫ রান করে বিদায় নেন ডেভিড মালান।
গত ম্যাচে বিধ্বংসী ফিফটি হাঁকানো মঈন আলী এই ম্যাচে করেন ২৮ রান। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানো বাকি দুই ব্যাটার জনি বেয়ারস্টো ৩০ ও লিয়াম লিভিংস্টোন ১৮ রান। ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৪৯ রানেই। প্রোটিয়াদের হয়ে ২৭ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তাবরাইজ শামসি। ৩৯ রান খরচায় সমান উইকেট পান ফেহলুকায়ো।
ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন রুশো। আগামী রোববার (৩১ জুলাই) সাউথ্যাম্পটনে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০২২
আরইউ