সাকিব আল হাসান আর বিতর্ক যেন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলে। গত কয়েকদিন ধরেই আলোচনায় একটি বেটিং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি।
টি-টোয়েন্টিতে নতুন নেতৃত্বে তাকেই ভেবে রেখেছিল বিসিবি। কিন্তু হঠাৎ তার এমন কাণ্ডে বিপাকে পড়ে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। শেষ অবধি অবশ্য শনিবার সাকিবকেই করা হয়েছে অধিনায়ক। এমন কাণ্ডের পরও কেন তাকেই অধিনায়ক করা হলো?
এমন প্রশ্নের জবাবে ক্রিকেট অপরাশেন্স কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘এটা নিয়ে (বেটিং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি) অনেক আলাপ হয়েছে। সাকিব তার ভুল বুঝতে পেরেছেন যে তার এমনটা করা উচিত হয়নি। আর সাকিব আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার। ’
‘যেহেতু আমরা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলাম যে সাকিবকে নেতৃত্ব দেয়া হবে তাই ওটাই করা হয়েছে। সাকিব প্রেসিডেন্টের সামনে এবং আমাদের সামনে বলেছে যে ওটাকে অনলাইন নিউজ পোর্টাল মনে করে ওটার সাথে চুক্তি করেছেন। তাকে বুঝিয়ে বলার পর সে কিন্তু সরে এসেছে। ’
যদিও সাকিব এখনও পুরোপুরি ছাড় পাননি। এ নিয়ে জালাল বলেছেন, ‘তার কাছে মনে হয়েছে যে এটা মিসগাইডেড। এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সে যেহেতু আমাদের অনুমতি ছাড়া চুক্তি করেছেন এ ব্যাপারে (শাস্তি বা কারণ দর্শানো) পরবর্তী বোর্ড সভায় আলোচনা করা হবে। ’
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের বাসায় শনিবার বৈঠকে বসেন বোর্ড কর্তারা ও সাকিব। এর আগেও জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে নিষিদ্ধ হয়েছেন। এবার তিনি বিতর্কিত হয়েছেন বেটিং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে। এমন একজনকে অধিনায়ক করা কতটুকু ঠিক হলো?
জবাবে জালাল ইউনুস বলেছেন, ‘এখানে আমাদের যুক্তি তো আছে। আমরা তো বলেছি সে আমাদের সেরা ক্রিকেটার, সে দেশের বাইরের কেউ না। সে যখন বলেছেন যে সে ভুল করেছে আমরা তা মেনে নিয়েছি। পরবর্তীতে যেন এমন ভুল না করে সেটা তাকে বলা হয়েছে এবং সাকিব তা মেনেও নিয়েছে। ’
‘সে আশ্বাস দিয়েছেন আমাদের বোর্ড প্রেসিডেন্টের সামনে তাই মেনে নিয়েছি। এমন কিছু হলে আসলে কমপ্রোমাইজ করা উচিত না। কিন্তু দলের চিন্তা করে এবার আমরা মেনে নিয়েছি। আশা করছি পরবর্তীতে এমন কিছু আর হবে না। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২২
এমএইচবি/এআর