বোলারদের ছন্দের শুরু। ফিল্ডিংয়েও থাকল আক্রমণাত্মক মানসিকতার চূড়ার দৃষ্টান্ত।
বুধবার অ্যাডিলেইড ওভালে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের ম্যাচে বাংলাদেশের সামনে ১৮৫ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ভারত। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে এই রান করেছে তারা।
ব্যাক অব লেন্থের হালকা বাউন্স পাওয়া বলে ইনিংসের শুরু করেছিলেন তাসকিন। প্রথম ওভারজুড়েই তিনি করেছেন দুর্দান্ত বোলিং, দিয়েছেন কেবল এক রান। এটুকু বললে কমই বলা হয় বোধ হয়। তাসকিন আদতে দুর্দান্ত ছিলেন তার পুরো স্পেলজুড়ে। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়েছেন, উইকেট অবশ্য পাননি।
সেটা তিনি পেতে পারতেন নিজের দ্বিতীয় ওভারের তৃতীয় বলেই। তাসকিনের বলে ফ্লিক করতে গিয়ে রোহিত শর্মা সহজ ক্যাচ দিয়েছিলেন ডিপ স্কয়ার লেগে দাঁড়িয়ে থাকা হাসান মাহমুদের হাতে। সোজা বাংলায় ‘লোপ্পা’ ক্যাচ ছেড়ে দেন তিনি।
পুরো ইনিংসজুড়েই ক্যাচ ছাড়ার মিছিলে নেমেছিলেন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। কখনো মোস্তাফিজুর রহমান-সাকিব আল হাসান হাফ চান্স মিস করেছেন, কখনো আবার নুরুল হাসান সোহান ক্যাচ ছেড়েছেন উইকেটের পেছনে।
পরের ওভারে এসেই অবশ্য প্রায়শ্চিত্তও করে ফেলেছেন হাসান। তাকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক সাকিব। আপার কাট করতে গিয়ে ইয়াসির আলির হাতে ক্যাচ দেন রোহিত। ৮ বলে ২ রান করে ফেরেন তিনি।
এই চাপ বাংলাদেশের বোলাররা ধরে রাখেন পাওয়ার-প্লের পুরোটা জুড়ে। ৬ ওভারে কেবল ৩৭ রান তুলতে পারে ভারত। কিন্তু ওই চাপ অষ্টম ওভারে এসে সরিয়ে দেন শরিফুল ইসলাম। নো বল, ওয়াইড, ছক্কা হজমে তিনি এক ওভারেই দেন ২৪ রান। দলের সবচেয়ে খরুচে এই বোলার ৪ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে থেকেছেন উইকেটশূন্য।
সাকিব অবশ্য নিজেদের প্রতি চাপ আটকে দেন লোকেশ রাহুলকে ফিরিয়ে। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে তাকে শর্ট ফাইন লেগের ওপর দিয়ে মারতে গিয়ে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তিনি। ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৩২ বলে ৫০ রান করেন রাহুল।
একপ্রান্তে আগলে রেখে এগিয়ে যান কোহলি। অন্যদিকে কিছুক্ষণ তাকে সঙ্গ দিয়ে দারুণ সব শট খেলছিলেন সূর্য কুমার যাদবও। মাঝে দুই দফা জীবন পাওয়ার পর সাকিবের বলেই থামেন ১৬ বলে ৩০ রান করে বোল্ড হয়ে।
শেষ অবধি ক্রিজে থাকা কোহলি ৪৪ বল খেলে করেছেন ৬৪ রান। ৮ চারের সঙ্গে হাঁকিয়েছেন এক ছক্কা। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন সাকিবও।
বাংলাদেশ সময় : ১৫৪৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২২
এমএইচবি