ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দীর্ঘদিন ধরে পে-পার্কিং চালুর চেষ্টা করছি: মেয়র রেজাউল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
দীর্ঘদিন ধরে পে-পার্কিং চালুর চেষ্টা করছি: মেয়র রেজাউল ...

চট্টগ্রাম: যানজট কমাতে পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের স্থান তৈরির পাশাপাশি পার্কিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

টাইগারপাসের চসিক কার্যালয়ে চসিক, সিএমপি এবং বিআরটিএর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) ত্রিপক্ষীয় সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় বিট্র্যাক সলিউশন চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে পে-পার্কিং চালুর বিষয়ে পাইলট প্রকল্পের রূপরেখা তুলে ধরে।  

মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে ঘিরে প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু বড় প্রকল্প গ্রহণ করায় চট্টগ্রামে গাড়ির সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে।

ভবিষ্যতের চট্টগ্রামকে যানজটমুক্ত করতে হলে প্রযুক্তিভিত্তিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা চালু করতে হবে।  

নগরীতে পার্কিংয়ের পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় অনেকে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করায় পর্যাপ্ত রাস্তা থাকা সত্ত্বেও কিছু পয়েন্টে যানজট তৈরি হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে আমি দীর্ঘদিন ধরে পে-পার্কিং চালুর পক্ষে জনমত গঠনের চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের মতামতের ভিত্তিতে প্রযুক্তিভিত্তিক পে-পার্কিং চালু করা গেলে নগরের যানজট অনেকটা কমে আসবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তার আলোকে আমরা স্মার্ট পে-পার্কিং সিস্টেম চালু করব।

আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা এবং ওয়াসা মোড় থেকে ষোলশহর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ২৩ জানুয়ারি (মঙ্গলবার)  চসিক, সিএমপি এবং বিট্র্যাক সলিউশন যৌথভাবে জরিপ চালিয়ে যেকোনো একটি স্থানে প্রাথমিকভাবে পাইলট প্রকল্প চালুর প্রস্তাব উঠে আসে সভায়।  

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পে-পার্কিং জনপ্রিয় করতে প্রয়োজনে গণবিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করে জনগণকে সচেতন করব আমরা। তিনি নগরকে হকারমুক্ত করতে ’নাইট মার্কেট’ চালুর প্রস্তাব দেন।

চসিকের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, পে-পার্কিং চালুর পাশাপাশি ব্যাটারি রিকশা নিয়ন্ত্রণ ও গণপরিবহন বিকেন্দ্রীকরণে সিএমপি এবং বিআরটিএর সহযোগিতা কামনা করেন।  

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আবদুল মান্নান মিয়া চসিকের পে-পার্কিং চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, প্রকল্পের ক্ষেত্রে পার্কিং করা গাড়ির নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রকল্পের প্রয়োজনে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে লোকবল নিয়োগ করতে হবে।  

বিআরটিএর পরিচালক শফিকুজ্জামান ভূঞা বলেন, নগরীতে পরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য রুট র‌্যাশনালাইজেশন করছে বিআরটিএ। একেক শ্রেণির গাড়িকে একেকটি রুটের ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে যানজট কমবে।  

মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম বলেন, পে-পার্কিং চালু হলে সেটি হবে চট্টগ্রামের জন্য এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। যানজট নিরসনে বেদখল হওয়া ফুটপাত উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

সভায় চসিক, সিএমপি, বিআরটিএ এবং বিট্র্যাক সলিউশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময় : ১৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২৪
এআর/পিডি/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।