চট্টগ্রাম: জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের তৈরি ল্যান্ডিং ক্রাফট ‘রায়ান’ চলবে আমিরাতে।
আরব আমিরাতের মারওয়ান শিপিংয়ের জন্য ৬৯ মিটার দীর্ঘ বিশেষায়িত জাহাজটি তৈরি করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) বোট ক্লাবের ঘাটে ওয়েস্টার্ন ক্রুজে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মারওয়ান শিপিংয়ের সঙ্গে ২০২৩ সালে ৮টি জাহাজ নির্মাণের চুক্তি করেছিল ওয়েস্টার্ন মেরিন। 'খালিদ' ও 'ঘায়া' নামের দুইটি টাগবোট রপ্তানি করবে ২০২৫ সালের এপ্রিলে। বাকি পাঁচটি জাহাজ ২০২৫ সালের মধ্যে রপ্তানি করা হবে। এর আগে ২০১৭ সালে একই ক্রেতার কাছে রপ্তানি করেছিল। যার সেবায় খুশি হয়ে তারা আবার জাহাজ নির্মাণে ওয়েস্টার্ন মেরিনে এসেছে।
ওয়েস্টার্ন মেরিনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন সোহেল হাসান বলেন, রেমিট্যান্স আমরা পাচ্ছি। পাশাপাশি দেশি গ্যাস, ইস্পাত, রং, ফার্নিচার, কেমিক্যাল, ইলেকট্রিক ক্যাবলসহ অনেক ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ গড়ে উঠছে।
বিগত সরকারের সময় জাহাজ নির্মাণ শিল্পের জন্য লো কস্ট ফান্ড করেছিল, কিন্তু কেউ নিতে পারেনি। ওয়ার্কিং ক্যাপিটালের জন্য লো কস্ট ফান্ড সরকার দিতে পারে। ইজি অব ডুয়িং বিজনেস সহজীকরণটা খুবই জরুরি। বন্দর, কাস্টম, কর, ভ্যাট ইত্যাদি বিষয়ে ওয়ান স্টপ সার্ভিস চাই।
তিনি বলেন, শিপ বিল্ডিং ঘুরে দাঁড়িয়েছে। আমাদের ইয়ার্ডে ৯টি জাহাজ রপ্তানির কাজ চলছে। আমাদের সম্পদ হচ্ছে জনশক্তি। তারা দক্ষ, কাজ করার উৎসাহ আছে। তাদের প্রশিক্ষণ ও সুবিধা দিতে পারলে সাফল্য আসবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মো. আনাম চৌধুরী, ওয়েস্টার্ন মেরিনের জিএম (অর্থ) আবুল মনসুর, শাহেদুল বাশার প্রমুখ।
ওয়েস্টার্ন মেরিন এ পর্যন্ত ১১টি দেশে ৩৩টি জাহাজ রপ্তানি করেছে। যার মূল্য ১০০ মিলিয়ন ডলারের বেশি।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৪
এআর/টিসি